সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সময়ের ডিজে সাবরিন আহমেদ তৃষা। শীতকালিন এই সময়টাতে কাজের ব্যস্ততা একটু বেশিই থাকে । বিভিন্ন কর্পোরেট সেক্টরের অনেক প্রোগ্রাম হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক প্রোগ্রাম গুলো শীতকালে বেশি হয়৷ তাই শীতকালীন সময়ে কাজের চাহিদা বেশি হয়।ডিজে সাবরিন কাজ করে যাচ্ছেন নিজ উদ্দোম্যে। প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই সময়টাতে বেশ ব্যস্ত থাকেন বলেই জানালেন এই ডিজে সাবরিন আহমেদ তৃষা।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক ধরনের ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকা হয়। এছাড়াও অবসর টাইমে ঘুরতে যাওয়া এবং ফ্যামিলিকে সময় দিয়ে ব্যস্ত থাকা হয়। তাছাড়া আমি অনেক দিন ধরে ডিজের সাথে কাজ করছি। ডিজের সাথে আছি ২০০৯ সাল থেকে। আসলে আমি ২০০৯ সালে ডিজে রাহাত ভাইয়ার কাছ থেকে ডিজে শিখি। তারপর ২০১২ পর্যন্ত ডিজে করেছিলাম। যেহেতু তখন শখের বসে শেখা হয়েছিল তাই পড়াশোনার জন্য ছেড়ে দিতে হয়। তারপর আবার ২০১৭ থেকে প্রফেশনালি ডিজে শুরু করি এবং এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছি। ডিজেতে কোন ধরনের দর্শক গানের সাথে আনন্দ পেয়ে থাকে। বর্তমানে ডিজে প্রোগ্রামগুলোতে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের দর্শক এসে থাকে। যেমন যখন প্রাইভেট প্রোগ্রাম গুলো করা হয় তখন সেখানে ফ্যামিলি মেম্বাররা এবং ফ্যামিলি রিলেটেড অতিথিরা থাকেন। যদি কর্পোরেট প্রোগ্রামগুলো করা হয় সেক্ষেত্রে সেখানে কর্পোরেট মেম্বারসরা থাকে যারা কিনা এসব কর্পোরেট কোম্পানির সাথে সংযুক্ত থাকে। এছাড়া বর্তমানে বিশেষ করে তরুণরা ডিজে প্রোগ্রামগুলো খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করে। যেটা কিনা বাংলাদেশের থেকে বাইরের দেশগুলোতে বেশি জনপ্রিয়। এখন শীতকাল এই কাজের চাহিদা এখন একটু বেশী । শীতকালে সাধারণত এই ডিজে প্রোগ্রামগুলোর ব্যাপক চাহিদা থাকে। এসময় শীতকালীন ছুটি থাকার ফলে বিভিন্ন কর্পোরেট সেক্টরে অনেক প্রোগ্রাম হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক প্রোগ্রাম গুলো শীতকালে বেশি হয়৷ তাই শীতকালীন সময়ে কাজের চাহিদা বেশি হয়। পুরোটা সময় নিজেকে ব্যস্ত থাকতে হয় একাজের মাধ্যমে।
দর্শকদের উদ্দেশ্যে তৃষা আরও বলেন, যারা এই সংস্কৃতিকে ভালবাসে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ডিজে প্রোগ্রামগুলো অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর মতই আনন্দ উপভোগ করার জন্য করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে ডিজে প্রোগ্রামের নামের অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর অপব্যবহারের মাধ্যমে এই সংস্কৃতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। সুতরাং এই সংস্কৃতির নামের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে । তাছাড়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবগুলো জেলায় প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রিসোর্ট, ক্লাব, বিভিন্ন তারকামান হোটেল, বিভিন্ন ওয়াটার পার্কসহ আরো অনেক জায়গা। ডিজে নিয়ে আমার অনেক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে ডিজের মাধ্যমে আমাদের দেশকে বাইরের দেশগুলোর কাছে তুলে ধরা। বিভিন্ন সামাজিক প্রোগ্রাম গুলোর সাথে ডিজে প্রোগ্রামগুলোকেও সামাজিক প্রোগ্রামে স্বীকৃতি দেওয়া। এছাড়াও মিউজিক প্রোডাকশন নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে।