হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায়
চাঁদপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর মত দেশকে মাতৃসেবার মত করে ভালোবাসতে হবে, এ প্রতিজ্ঞা প্রত্যেককে নিতে হবে।
মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম আরো বলেন, আমরা হাজীগঞ্জ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেতা। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাবো। গণতান্ত্রিকভাবে আপনারা আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন এ আশা আমার আছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সাংগঠনিক এবং সুশৃঙ্খল দল। সম্মেলন না করলে দল গতিশীল হয় না। আমরা সম্মেলন করবো আপনাদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে। অনেক রক্তের বিনিমযে আমাদের এ স্বাধীনতা অতএব আমাদের স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন না।
আমরা দেখেছি ২০০১ সালে কে কি করেছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক কাজ হবে। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। আমাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কেন থাকবে। যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিবে সে সিদ্ধান্ত ভুল হবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের নেতা নির্বাচিত হবে। একটি সুন্দর ও সুষ্ঠ সম্মেলন হবে তা চাঁদপুরের জন্যে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাড়াবে। আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, যারা দলের শৃঙ্খলা নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের একমাত্র ঠিকানা, আশা-ভরসার প্রতীক শেখ হাসিনা। তিনি এখন পর্যন্ত জেগে আছেন বলেই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক। সম্মেলনের মাধ্যমে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগকে একটি সুসংগঠিত পর্বের নেতৃবৃন্দ এমনটাই প্রত্যাশা।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখছেন——-
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
তিনি বলেন, ধরে ধরে ধরে না, ধরলে লীগ ছাড়েনা। গ্রুপিং রাজনীতি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংযুক্ত হন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অতি প্রাচীন এবং এর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কর্মকাণ্ড। এ দলের ভিত্তি মানে সংগ্রাম, আন্দোলন ও বাংলাদেশ নামক দেশ। এ কথা স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই যে আওয়ামী লীগ মানে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু মানে আমাদের স্বাধীনতা ও বর্তমান উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশের লাখ লাখ মানুষের মনের কোঠায় ঠাঁই হয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর নাম, তাঁর চেতনা, তাঁর দৃপ্ত অঙ্গীকার। স্বাধীনতাপরবর্তী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর চেতনায় লালিত। এ দেশের কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে ধারণ করে। একমাত্র তাঁদের জন্য ও তাঁদের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্ব ও চেতনার জন্য মানুষ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার তেমন কিছু নেই বললে চলে। তারা নেতা নয়, তবে দলের কর্মী ও সমর্থক হতে পারে। নেতাদের মতো অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগকে মনেপ্রাণে পছন্দ করে এবং চায় আবার যেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। জননে আর বিকল্প আর কোন দিন হতে পারে না। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক মুরাদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খায়রুল কবির আবাদ, সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাইনুদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন।