স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
দুবলার চরে রাসপুর্ণিমায় পুর্ণ্যার্থীদের উপছে পড়া ভীড়
চন্দ্রিমার আলোক মালায় শোভিত নীরব চরাঞ্চল সরব
হয়ে উঠছে পুর্ণ্যার্থীদের প্রার্থনা আরোধনায়।বাঙালী হিন্দুদের অন্যতম প্রধান পার্বণ রাস উৎসব দুবলার চরের আলোরকোলে নতুন এক বিশেষ মাত্রায় সাড়া ফেলেছে বাঙালি হিন্দু সমাজ। সাগর প্রকৃতির অভাবনীয় সৌন্ধ্যর্যের মাঝে পুর্ণ্য অর্জন আর আনন্দ সঞ্চার যেন মিলেমিশে একাকার হয়েযায়।
বাঙালি হিন্দুদের অন্যতম প্রধান পার্বণ রাস উৎসব দুবলারচরের আলোরকোলে নতুন এক বিশেষ মাত্রায় সাড়া ফেলেছে বাঙালি হিন্দু সমাজে। সাগর-প্রকৃতির অভাবনীয় সৌন্দর্যের মাঝে পুণ্য অর্জন আর আনন্দ-সঞ্চার যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আগে থেকেই যাত্রার প্রস্তুতি শুরু করেন দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা । কার্ত্তিক-অগ্রহায়ণের শুক্লপক্ষের ভরা পূর্ণিমায় সাগর যখন উছলে ওঠে, লোনা পানিতে ধবল চন্দ্রালোক ছলকে যায় অপার্থিব সৌন্দর্য রচনা করে, চন্দ্রিমার সেই আলোকমালায় সাগর-দুহিতা দুবলার চরের আলোর কোল মেতে ওঠে রাস উত্সবে। ৬ নভেম্বর থেকে তিন দিনের রাসমেলায় আগমনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা। মেলায় দর্শনার্থী ও পুর্ণার্থীদের নিরাপত্তায় বনরক্ষীদের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের কঠোর টহল ব্যবস্থা থাকে্।
দুবলার চরের আয়তন ৮১ বর্গ কি.মি. । আলোরকোল, কোকিলমনি, মাঝিরকিল্লা, কবরখালি, হলদিখালী, অফিসকিল্লা, নারকেল বাড়িয়া, ছোট আমবারিয়া, মেহের আলির চর এবং শেলার চর নিয়ে দুবলার চর গঠিত । লোকালয় থেকে বহুদূরে সুন্দরবনের দক্ষিণে কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে বিচ্ছিন্ন চর দুবলার আলোরকোলের এই রাস উৎসব ধারণ করে আছে বহু বছরের ইতিহাস। দুবলার চরের রাস মেলার ইতিহাস নিয়ে নানান মত প্রচলিত আছে।
ধারণা করা হয়, ১৯২৩ সালে হরি ভজন নামে এক হিন্দু সাধু এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। এই সাধু চব্বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফলমূল খেয়ে অলৌকিক জীবনযাপন করতেন। নিকটবর্তী গ্রাম গুলোতে তার অনেক শিষ্য ছিল । অন্য একটি মতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ শত বছর আগের কোনও এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান সেই থেকে শুরু হয় রাস মেলা।