খলিল
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩০ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ ভোর ০৪ ঘটিকায় র্যাব-৪ ও র্যাব-৬ এর একটি যৌথ চৌকস আভিযানিক দল যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন ভাঙ্গাগেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জুলেখা হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ মিরাজ শেখ (২২) খুলনা জেলা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আনুমানিক গত ৩/৪ মাস পূর্বে আসামী মিরাজ এর সহিত ভিকটিম জুলেখা বেগম এর বিবাহ হয়। বিবাহের পরে আসামী মিরাজ এবং ভিকটিম জুলেখা ধামরাই থানাধীন এলাকায় বসবাস করে আসছিলো। আসামী কালামপুর সাকিনস্থ থ্রী স্টার ইট ভাটায় এবং ভিকটিম উক্ত এলাকায় একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করত। বিবাহের পর হতে আসামী ভিকটিমকে অহেতুক বিনা কারনে সন্দেহ করিয়া বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে গালিগালাজ ও মারধর করত। এই ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম অনেকবার তার মায়ের কাছে নালিশও করেছে। মায়ের কাছে নালিশ করায় আসামি ভিকটিমের উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের দাম্পত্য কলহ চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনিত হয়। উক্ত কলহের সূত্র ধরে আসামী গত ২৬/১০/২০২২ ইং তারিখ রাত অনুমান ১২ঃ০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে হত্যা করে এবং ঘরের বাহির হইতে দরজায় শিকল লাগাইয়া কৌশলে পালাইয়া যায়। স্থানীয় লোকজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাটি ভিকটিমের পরিবারকে জানায়। পরবর্তীতে ধামরাই থানাধীন এলাকার জনৈক শামসুল হক এর বাড়িতে কাথায় মোড়ানো অবস্থায় ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ। উক্ত ঘটনায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস্ মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিকটিম জুলেখার বড় ভাই মোঃ আল-আমিন আসামি মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে বিবাদী করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফলশ্রুতিতে র্যাব-৪ আসামীদের গ্রেফতারে ছায়াতদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় আসামী মিরাজ ছদ্মবেশে যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে যার প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ ও র্যাব-৬ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মিরাজ (২২)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিম জুলেখা’কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হন্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।