ক্রিকেটে এশিয়ার অন্যতম সেরা পরাশক্তি দল ভারত-পাকিস্তান। এই দুই দলের ম্যাচের পরতে পরতে থাকে উত্তেজনা। আগে সচরাচরই তাদের মাঠের লড়াই দেখা যেত।
কিন্তু দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার কারণে ২০১২ সালের পর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যে কারণে ক্রিকেটপ্রেমীদের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে অধীর আগ্রহে লম্বা সময় ধরে বসে থাকতে হয়।
আইসিসি এবং এসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া এই দুই দলের মাঠের লড়াই দেখাই যায় না। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার জন্য স্টেডিয়ামেই নয়, টিভি স্কিনের সামনেও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দর্শক জনপ্রিয়তায়ও রেকর্ড গড়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।
এই ম্যাচের প্রতি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের চাহিদা অন্যরকম। মাঠে প্রতিটি বলে বলেই থাকে উত্তেজনা-উন্মাদনা। আর সেই উত্তেজনকর ম্যাচে স্নায়ুচাপ ঠিকে রেখে নিজেদের সেরাটা উজার করে দেওয়া মোটেও সহজ ব্যাপার নয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে ভারত।
ভারতের বিপক্ষে রোববার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ১৫৯ রান করেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে না পারায় শেষ ওভারে টানাটান উত্তেজনাকর মুহূর্তে মোহাম্মদ নওয়াজের নো বলের খেসারত দিতে হয় পাকিস্তানকে।
১৬০ রানের টার্গেট তাড়ায় ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ভারত। সেই অবস্থা থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যান সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার ৫৩ বলের ৮২ রানের হার না মানা অবিশ্বাস্য ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটের জয় পায় ভারত।
ম্যাচ হারের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আমরা বোলিংয়ে ভালো শুরু করেছি, তারপর সব কৃতিত্ব হার্দিক পান্ডিয়া এবং বিরাট কোহলির। তারা গতি পরিবর্তন করে এবং খেলাটি ভালোভাবে শেষ করে। নতুন বলের সাথে এটা সহজ নয়, একটু একটু করে সুইং এবং সিম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জয়ের একটা সুযোগ ছিল। আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে বলেছিলাম। আমরা কোহলি-পান্ডিয়ার জুটিটা সময় মতো ভাঙতে পারিনি। তাদের উইকেট আমাদের খুব দরকার ছিল, সেজন্য আমরা আমাদের মূল বোলারদেরও কাজে লাগিয়েছি। ১২তম ওভারে ২০ রান দেওয়ার পরও শেষ ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজের ওপর আস্থা ছিল। কিন্তু স্নায়ুচাপের কারণে সে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি।