আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্ত জুড়ে কাশফুল জানান দিচ্ছে শারদীয় দূর্গা উৎসবের। প্রকৃতি যেন ছড়িয়ে দিচ্ছে দেবী দূর্গার আগমনী বার্তা। একটু একটু করে দেবী দূর্গা রুপ নিচ্ছেন নিজ অবয়বে। আর তাই দম ফেলার সুযোগ নেই প্রতিমা শিল্পীদের। দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সেই পূজা উপলক্ষে দেশজুড়ে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন এর আজমেহেরপুর
প্রতি উৎসবেই যেন নিজেকে জানান দেয় নতুন রুপে। সে রুপে এবার মাটির প্রলেপে শিল্পীর তুলির ছোয়ায় পূর্ণতা পাচ্ছে দেবী দূর্গার প্রতিমা।
এবারের দুর্গাপূজা আগামী ১ অক্টোবর (১৪ই আশ্বিন) ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু করে ৫ অক্টোবর (১৮ই আশ্বিন) বিজয়া দশমী দিয়ে শেষ হবে। করোনার ঘোর কাটিয়ে এবারের আমেজ যেন বাঁধনহীন। রাত জেগেও কাজ করছেন শিল্পীরা। নিজের সর্বোচ্চ কারিগরি দক্ষতা দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন বাহারী কারুকাজ।
এবার বাঘারপাড়ায় ৯২টি পূজা মন্দিরে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গাপূজার প্রধান উপকরণ হচ্ছে মা দুর্গার প্রতিমা। এছাড়াও লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, অসুরসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। দেবী দুর্গা ও তার বাহন সিংহের প্রতিমাসহ তৈরি করা হচ্ছে যাকে বধের জন্য দেবীর আগমন সেই মহিষাসুরের প্রতিমা। এছাড়াও তৈরি হচ্ছে দেবী লক্ষ্মী, সরস্বতী, দেবতা কার্তিক, গণেশ, এবং তাদের বাহন পেঁচা, রাজ-হাঁস, ইঁদুর আর ময়ূর।বাঘারপাড়ার মন্দিরগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতিমা তৈরীর এসব চিত্র।
মৃৎশিল্পী বিপ্রদাশ মুখার্জি জানান, প্রতিবছর এই সময়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করি। এটি শুধু আমাদের পেশা নয় আমাদের নেশাও। মন থেকে ভালবাসি এই কাজ করতে।
তপন মুখার্জি নামের আর একজন শিল্পী বলেন, প্রতিমা তৈরীর কাজে এখন অনেকের আগ্রহ নেই। আগের চেয়ে মুনাফা এখন কম। এই সময় সবকিছুর দাম বাড়ছে, কিন্ত মূল্য বাড়েনি শিল্পীদের। এই পেশায় অনেকেই এখন আসতে চায় না, তবে অনেকেই ভালোবেসে এখনো এই কাজ করছে।