কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী পিতার লাশ দাফন সেরে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই আত্মীয় স্বজনের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নুসরাত জাহান বিথী।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পিতার লাশের নামাজে জানাজা শেষে এলাকার গোরস্থানে সমাহিত করে, তাঁর খালার সাথে উপজেলার মুছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এস.এস.সি গণিত পরিক্ষা দিতে আসে নুসরাত। কেন্দ্রে এসেও বাবার শোকে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছিল নুসরাত।
নুসরাতের বাবা মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ জনিত কারণে খিলক্ষেত এশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রাতেই ঢাকা থেকে নুসরাতের বাবার মৃতদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ীতে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের নাছিরাকান্দা গ্রামে নিয়ে আসলে স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
নুসরাতের বাবা মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়ার মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫০ বছর।
তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।