ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রে জরাজীর্ণ ভবনটি যেন এক মৃত্যুর ফাঁদ !! তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশিং সেবা। ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যরা যেন এক অজানা আতংকে ভুগছে। নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় ঝুঁকিতে থেকেও কাজ করে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের পিলারে ফাটল ধরেছে। ছাদ ও দেয়ালে পলেস্তারা খসে ভিতরের ইট বেরিয়ে এসেছে। সবকটি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যেই চলছে পুলিশিং কার্যক্রম এতে ভবনটি যেকোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
সূত্রে জানাযায়, তদন্ত কেন্দ্রটি ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদ’র পরিত্যক্ত ভবন, এই ভবনটিতে তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে। ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নটি ছিল সবচেয়ে অপরাধ প্রবল এলাকা। যেখানে চলত প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত অপরাধের নৃত্যখেলা। ভৌগোলিক দিক থেকে এই ইউনিয়নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ইউনিয়নটির উপর ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ চলমান। পরিত্যক্ত ভবনে দীর্ঘ এক যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে ভবনটি আগের থেকে ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। যাহা যেকোন মুহুর্তে ধসে পড়ার আশংকা থেকে যায়। তদুপরি ইউনিয়ন পরিষদের শৌচাগার ব্যবহার করে পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা শত শত সেবাপ্রার্থীরা। একই শৌচাগার সবার জন্য উম্মুক্ত হওয়ায় খুবই নাজুক অবস্থায় পড়তে হয়। সকলের একটাই দাবি পরিত্যক্ত ভবন থেকে বেরিয়ে এসে তদন্ত কেন্দ্রের জন্য নতুন একটা ভবন নির্মান করে ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের সেবার মান বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা স্থানীয় জনগন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্র’র পুলিশিং কমিউনিটি সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, তদন্ত কেন্দ্রটি স্থাপন হওয়ার পর থেকে দেখতেছি খবুই জরাজীর্ণ এবং এই কেন্দ্রে কোন গাড়ী নেই, ফলে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আমি চাই অতি দ্রুত একটি নতুন ভবন ও গাড়ী অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমার আন্তরিক সহযোগিতা থাকবে। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান এফএম আজিজুল হক মানিক বলেন, আমরা তদন্ত কেন্দ্র জন্য জমি খোঁজ করতেছি, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের ইনশাআল্লাহ জায়গা ব্যবস্থা হলে সমস্যা সমাধান হবে। ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সত্যি মানবেতর জীবনযাপন করছে তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। এটির একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।
ছাগলনাইয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্ত কেন্দ্র’র জন্য স্থায়ী ভাবে জায়গা খুঁজতেছি। জায়গার ব্যবস্থা হলে নতুন ভবন করা হবে। ফেনী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হাসান জানান, আমি ফেনীতে নতুন এসেছি। কয়েকদিন আগে ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি। সত্যই এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে লিখিত আকারে অবহিত করা হবে যাতে অতিদ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা যায়।