কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় স্বামীর লিঙ্গ কেটে দেয়ার অভিযোগে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার দিন রাতেই আলমগীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে দুই জনকে আসামী করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্ত্রী সাহিনা বেগম ও শাশুড়ী সেফালী বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ঝিনজিরা বালার চর গ্রামের মৃত জোসেন আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫) এর সাথে কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে সাহিনা বেগমের (১৮) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। গত শুক্রবার উভয় পরিবারের মধ্যস্থতায় কলহের নিরসন হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় স্ত্রীসহ শশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় আলমগীর।
পরের দিন(শনিবার) শ্বশুর বাড়িতে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে আলমগীর ঘুমিয়ে পড়ে। দুপুর ৩ টার দিকে অভিযুক্ত স্ত্রী ধারালো ব্লেড দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্বামী আলমগীরের লিঙ্গ কেটে দেয়।
এসময় আলমগীরের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী মাদার ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “অবস্থা গুরুতর দেখে ভুরুঙ্গামারী মাদার ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম থেকে তাকে রেফার্ড করে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি বাড়িতে এসেছি টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেখান থেকে ফোনে সর্বশেষ যা জেনেছি, তাতে রোগী ওই অবস্থায় রয়েছে।”
কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।