রাজধানীর উত্তরায় দায়িত্ব পালনকালে বেপরোয়া লরির চাপায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কাজী মাসুদ (৩৮) এবং বাস কাউন্টার কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামি লরিচালক আব্দুল আল আজাদকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ঢাকা থেকে পালিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন আসামি আজাদ। তিনি ভারী যান চালালেও তার লাইসেন্স ছিল হালকা যান চালানোর।
সোমবার (২৯ আগস্ট) উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল রোববার (২৮ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ৯ নম্বর সেক্টরে দায়িত্ব পালনের সময় বেপরোয়া লরির চাপায় কাজী মাসুদ ও জাহাঙ্গীর আলম সহ দইজন নিহত হন।
এসময় চালক আব্দুল আল আজাদ দ্রুত সেখান থেকে লরি নিয়ে পালিয়ে যান।
এরপর তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিয়া গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
ওসি মহসীন আরও জানান, গ্রেফতার আজাদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। রোববার দিনগত রাতে বেপরোয়াভাবে লরি চালানোর সময় ট্রাফিক কনস্টেবল মোঃ কাজী মাসুদ ও বাস কাউন্টার কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলমকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কনস্টেবল মাসুদ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান জাহাঙ্গীর আলম। লরিচালক আজাদ ভারী যান চালালেও তার লাইসেন্স ছিল হালকা যান চালানোর।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত কনস্টেবলের স্ত্রী রিমি আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার লরিচালক লরি ফেলে পালিয়ে শ্বশুরবাড়ি পালিয়ে চলে যান। সেখানে খাটের নিচ থেকে বের করে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের একটি দল। চাপা দেওয়া সেই লরিটি জব্দ করা হয়েছে।