প্রথম স্বামীর সঙ্গে শিক্ষিকা খায়রুন নাহার (৪০) মোবাইলে কথা বলতেন। এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্বামী মামুন (২২) বহুবার নিষেধ করেছেন। কথা না শোনায় উভ’য়ের মধ্যে দ্ব’ন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে শনিবার (১৩ আগস্ট) স্ত্রীর সঙ্গে কথা টাকা’টিও হয় মামুনের।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে আ’ট’ক মামুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য জানায় পু’লিশ। এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অ’তিরিক্ত পু’লিশ সুপার মহসীন আলী জানান, খবর পেয়ে সিআইডির একটি দল রাজশাহী থেকে রওনা দিয়েছে। তারা ম’রদে’হের সু’রতহা’ল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়’নাতদ’ন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতা’লে পাঠাবে।
সকালে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজি নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চার তলার একটি ফ্ল্যাটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রে’মের সম্প’র্কের পর ছাত্রের সঙ্গে বিবাহব’ন্ধনে আব’দ্ধ হওয়া ওই কলেজ শিক্ষিকার ম’রদেহ পাওয়া যায়। ওই বাসায় ভাড়ায় থাকতেন তিনি।
খায়রুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজে’লার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এর আগে শনিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে শিক্ষিকা খায়রুন নাহার আত্মহত্যা’ করেছেন বলে দা’বি করেন মামুন। পু’লিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৩টার দিকে মামুন প্রতিবেশীদের ডেকে এনে বলেন, তার স্ত্রী’’ খায়রুন নাহার গলায় ফাঁ’স নিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা’ করেছেন।
প্রতিবেশীরা তার ঘরে গিয়ে দেখতে পান খায়রুনের নিথর দে’হ ঘরের মেঝেতে শো’য়ানো। এতে তাদের স’ন্দেহ হলে মামুনকে আ’ট’কে রেখে পু’লিশে খবর দেন তারা। নাটোর পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লা’শের সুরতহা’ল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া মামুনকে আ’ট’ক করা হয়েছে। জানা যায়, উপজে’লার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বা’ঘা উপজে’লায়।
প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তানও ছিল। পারিবারিক কল’হে সংসার বেশিদিন টি’কিয়ে রাখতে পারেননি। তারপর কে’টে যায় অনেক দিন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের স’ঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজে’লার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।