সোনাপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বেশিরভাগ পরিবহনের ভাড়া ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে, ঢাকা রামগঞ্জের হিমালয় আল-বারাকা সহ বেশকিছু পরিবহন বন্ধ রয়েছে
এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা,
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে নোয়াখালী থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী দূরপাল্লার বিভিন্ন বাসে বেশি ভাড়া আদায় করছেপরিবহন মালিকপক্ষ।
একইভাবে অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনো ঘোষণা ছাড়াই ভাড়াবৃদ্ধির কারণে যাত্রীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
আজ শনিবার সকালে নোয়াখালী শহর এলাকায় নতুন বাসস্ট্যান্ড, জামে মসজিদ মোড়, হাসপাতাল সড়কের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, নোয়াখালীর সোনাপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী লাল-সবুজ পরিবহন ছাড়া অন্য সব পরিবহনের বাসেই আগের ভাড়ার চেয়ে ৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে।
একুশে পরিবহনের কাউন্টারের একাধিক কর্মচারী বলেন, আজ সকাল আটটা থেকে মালিকপক্ষের নির্দেশে তাঁরা যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৫০ টাকা বৃদ্ধি করেছেন। পরিবহন মালিক সমিতি কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিলে ভাড়ার হার আরও বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। হিমাচল পরিবহনের বাস কাউন্টারের কর্মচারীরাও একই তথ্য দেন। সোনাপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী বাঁধন ও রেসালাহ পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহন কোম্পানির বাসগুলোতেও পূর্বনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
হঠাৎ করে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। হাসপাতাল সড়কে ঢাকাগামী যাত্রী আবদুর রহিমের সঙ্গে কথা হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো কথাবার্তা ছাড়াই হুট করে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ ভাগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন পরিবহন কোম্পানিও কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। মাঝখানে আমরা সাধারণ জনগণ বাড়তি খরচ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।’
মো. সবুজ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘এমনিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অবস্থা শোচনীয়। এর ওপর জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাসভাড়াসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়ছে না।’
ঢাকা-সোনাপুর রুটের পরিবহন ব্যবসায়ী রজমান হোসেন বলেন, ডিজেলের দাম যেভাবে বাড়ানো হয়েছে, তাতে একটি বাস নোয়াখালী থেকে ঢাকা যেতে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ বেড়ে যাবে। ওই হিসেবে যাত্রীপ্রতি কমপক্ষে ১০০ টাকা ভাড়া বাড়াতে হবে। তা না হলে পরিবহনমালিকেরা লোকসানের মুখে পড়বে।
সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে একুশে পরিবহনের নোয়াখালী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ছালামত উল্যাহ বলেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আপাতত যাত্রীপ্রতি ৫০ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করার জন্য কাউন্টারগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতনমহলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে ভাড়া আরও বাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।