এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- তিনমাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির নতুন ফেজে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পুরোপুরি উত্তোলনে যাবে কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় খনির নতুন ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান। তিনি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
গত ৩০ এপ্রিল খনির ১৩১০ নম্বর ফেজের মজুত শেষ হওয়ায় সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। দুই মাস ২৮ দিন পর খনির নতুন ফেজে কয়লা উৎপাদন শুরু হলো। পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে গেলে প্রতিদিন ২৭০০ থেকে ৩০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হবে বলে জানায় খনি কর্তৃপক্ষ।
খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিত্যক্ত ১৩১০ নম্বর ফেজের ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও নতুন যন্ত্রপাতি বসিয়ে ১৩০৬ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা তোলার প্রক্রিয়া শুরু হলো। এখানে আগস্টের মাঝামাঝি কয়লা উত্তোলনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সবার চেষ্টায় তার আগেই উৎপাদনে যেতে পেরেছে তারা।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের আগস্টের মাঝামাঝি উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। এতে করে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা ছিল।’
জাতীয় সংকট মোকাবিলায় দ্রুত কয়লা উত্তোলনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা এবং পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সেই নির্দেশনা মোতাবেক চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেষ্টায় দ্রুত নতুন ফেজের উন্নয়ন কাজ শেষ করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় কয়লা উত্তোলন।’
এতে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেটি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো গেল জানান তিনি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হলে উত্তরাঞ্চলের মানুষ চরম লোডশেডিংয়ে পড়ত।
এখান থেকে প্রতিদিন ২৭০০ থেকে ৩০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘নতুন ফেজে কয়লা মজুত আছে চার লাখ টন।’