উজ্জ্বল কুমার সরকার, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় জমে উঠেনি গবাদিপশুর হাটমান্দা নওগাঁ সংবাদদাতা : নওগাঁর হাটে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী গবাদিপশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। তবে জমে উঠেনি গবাদিপশুর হাট প্রতিবছর জেলার মান্দার দেলুয়াবাড়ি, নিয়ামতপুরের ছাতড়া, চৌবাড়িয়া ও সতিহাট, মহাদেবপুর, মাতাজীরহাট চকগৌরীর হাট নওগাঁ সদরের ত্রি-মোহনী, সাপাহারের দিঘিরহাট, পোরশার মশিদপুর, পত্নীতলার মধুইল, ধামইরহাট সদর, রাণীনগরের আবাদপুকুর, আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ, ও বদলগাছীর কোলা হাটে বেশি গবাদিপশু বিক্রি হয়ে থাকে।
জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় গতবার কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর সংখ্যা অনুযায়ী এবার কোরবানি হতে পারে ২ লাখ ৯৩ হাজার পশু। কোরবানি উপযুক্ত অতিরিক্ত ১ লাখ ৩৯ হাজার গবাদিপশু দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চাহিদা মেটাবে। জেলায় বাণিজ্যিকভাবে গবাদিপশু লালন-পালনকারী খামারের সংখ্যা ২৫ হাজার।
এদিকে জেলার সবচেয়ে ছোট পশুর হাট মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি হাটের ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির পশুতে পুরো হাট ঠাসা। বিপুল পরিমাণ পশু যেমন উঠেছিল, তেমনি বিক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে ছিল না আশানুরুপ ক্রেতা। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে কম দামে ব্যাপারী ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে পশু বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। আবার অনেককেই আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় হাট থেকে গরু ফেরত নিয়ে গেছেন।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, দেলুয়াবাড়ি হাটে সপ্তাহে ১দিন (রবিবার) পশুর হাট বসে। সারা বছর হাটটিতে গবাদিপশুর বেচাকেনা হলেও কোরবানি উপলক্ষে প্রায় এক মাস আগে থেকে গরু-ছাগলের আমদানি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ৮দিন। অথচ এখনও হাটে আশানুরূপ ক্রেতার দেখা নেই। কোরবানির পশুর হাট লাগবে নেই এই বাজারে।
দেলুয়াবাড়ি হাটের ইজারাদার মোবারক হোসেন বলেন, হাট নওগাঁর সবচেয়ে ছোট পশুরহাট। অন্য বছর ঈদের তিন-চার হাট আগে থেকেই এখানে হাট জমে উঠে। কিন্তু এবার তা জমে উঠেনি। হাটে প্রচুর গরু-ছাগলের আমদানি হয়েছে, অথচ ক্রেতা নেই। কিছু ব্যাপারী কম দামে গরু-ছাগল কিনেছেন। অনেকেই হাট থেকে গরু-ছাগল ফেরত নিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, এবার এখন পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বড় বড় ব্যাপারীদের দেখা মিলেনি।