ক্রিড়া সাংবাদিকদের জাতীয় সংগঠন বিএসপিএ কর্তৃক বিশেষ সন্মাননা পেলেন রাষ্ট্রীয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কৃতিসন্তান মোঃ আব্দুল গাফফার।
তিন জুলাই শুক্রবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাকে এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ক্রিড়া সাংবাদিক সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের সহ-সভাপতি মোঃ হিডিডি,মহাসচিব আমজাদ আজিজ মালিক,অনুষ্ঠানের স্পনসর প্রতিষ্ঠান স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অফ ডিরেক্টর মালিক মোহাম্মদ সাঈদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসপিএ’র সভাপতি সনদ বাবলা।
প্রয়াত, অসুস্থ, বিভিন্ন ভাবে বিপদগ্রস্ত সহ ক্রীড়াবিদের নানান সমস্যায় সর্বদা ছুটে চলা মানবিক মানুষটি মোঃ আব্দুল গাফফার।ক্রিড়া জীবনে দল ও দেশের অন্য অসামান্য অবদান ও বর্তমানে ক্রীড়াবিদের নানান সমস্যায় পাশে থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই সন্মাননা দেওয়া হয়।
তার এই বিশেষ স্বীকৃতি প্রয়াত দুই বন্ধুকে উৎসর্গ করেন তিনি , তিনি জানান ‘বাদল খেলোয়াড়ি জীবনের আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। ১৯৭৭ সাল থেকে একসঙ্গে খেলা শুরু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা, ক্রীড়া সংগঠক ক্যারিয়ার ও রাজনৈতিক জীবনে এক সঙ্গে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। রব্বানী হেলালও ছিল অকৃত্রিম বন্ধু। সেও ক্রীড়াঙ্গনের অনেক মানুষের পাশে ছিল। দুই প্রয়াত বন্ধুকে আমার এই বিশেষ সম্মাননা উৎসর্গ করছি।স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর স্পন্সরে সাংবাদিকদের জাতীয় ক্রীড়া সংগঠন বিএসপিএ এর আয়োজনের উক্ত অনুষ্ঠানে থেকে বিভিন্নজন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। আব্দুল গাফফারের পুরস্কারটি ছিল বিশেষ ক্যাটাগরি। বিশেষ ক্যাটাগরির পুরস্কার পেয়েও গাফফার বিশেষ কাজ করলেন। যা করেনি কেউ। এখানেও গাফফারের মহত্ত্বের পরিচয় ফুটে উঠেছে।
আবদুল গাফফার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রসূলপুর গ্রামের মৃত হাসেম উদ্দিন সরকারের পুত্র।তিনি ঢাকা মহানগর ২৭ নং ওয়ার্ডে টানা ৮ বছর কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়াও ১৯৯৭ সালে ঢাকা সিটির এক মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই প্রাপ্তিতে নান্দাইলের মানুষ আনন্দিত।