লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোঃ মিরাজ হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যা মামলায় আসামি করার অভিযোগ ওঠেছে। তিনি উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের পশ্চিম চরপাতা গ্রামের মজুমদার বাড়ির আব্দুর রহমানের ছেলে। বিষয়টির প্রতিকার ও তাঁকে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রচারণার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে রোববার (৫ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
উপজেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি ওই ঘটনার জন্য বিরোধীয় পক্ষ একই বাড়ির শাহানারা বেগম ও তাঁর ছেলে হাবিবুল্লাহ সোহেল এবং তাঁদের মোহরার (আইনজীবী সহকারী) আবু নেওয়াজ টিপুকে দায়ি করেছেন।
মোঃ মিরাজ হোসেন (৩৫) বলেন, ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে একই বাড়ির শাহানারা বেগমের সাথে বিরোধ চলছে। আদালতে তিনটি দেওয়ানী মামলা চলছে। সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়ে তাঁরা আমাদেরকে হয়রানির করতে জিডি ও মামলার পর মামলা করেই যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে সুনামক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন।
মিরাজ আরো বলেন, চলতি বছরের ৬ মার্চ উপজেলার বোয়াডার এলাকা থেকে ইয়াবাসহ লক্ষ্মীপুরের মোঃ ছায়েদকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৬ মার্চ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় মারধর দেওয়ার অভিযোগে চরপাতা ও সদর উপজেলার চৌদ্দ জনকে অভিযুক্ত করে দায়ের করা মামলায় আমাকে চৌদ্দ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ আমি বিষয়টির কিছুই জানিনা। ঘটনাস্থলও কয়েক কিলোমিটার দূরে। হয়রানির জন্যই শাহানারা বেগমের ইন্ধনে তাঁদের মামলার মোহরার বিএনপি সরকারের সময়ের ত্রাস আবু নেওয়াজ টিপুকে দিয়ে আমাকে আসামি করা হয়।
শাহানারা বেগম বলেন, জমি নিয়ে উভয় পরিবারে বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে। আমরা কাউকে হয়রানি করছিনা।
আইনজীবী সহকারী (মোহরার) আবু নেওয়াজ টিপু বলেন, আমার কাজ ভূক্তভোগীদের মামলা পরিচালনায় সহায়তা করা। আমি মিরাজ বা কাউকে আসামি করিনি। নিহতের বাবা তাঁদেরকে অভিযুক্ত করে মামলা দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সঠিক নয়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে উভয় পরিবারের মামলা চলছে। ছায়েদ মারা যাওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটিরও তদন্ত চলছে। ওই মামলায় এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।