প্রতাপসাহা বাড়ী শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দিরে বাবালোকনাথের ১৩১ তম তিরোধান দিবস বিভিন্ন আচার পূজানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়েছে, ৩ রা জুন ১৯ শে জৈষ্ঠ্য শুক্রবার বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে, সকাল ৮ ঘটিকায় জলভরন,সকাল ১১টায় বল্যভোগ,বিকাল ৩ টায় রাজভোগ সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় গিতা ও ভাগবত পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে, ভক্তরা উলুধ্বনির ও শঙ্খ ধ্বনি মোমবাতি ও ধুপকাটি প্রজ্বালনের মাধ্যমে তাদের পরমগুরু বাবা লোকনাথের আরাধনা ও সান্নিধ্যে লাভ করার জন্য সকাল থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে দলে দলে আসতে থাকে। পরে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হয়। জানাযায়,
, ০৩জুন, ২০২১, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩১ তম তিরোধান উৎসব। তিনি এই দিনে বেলা ১১-৪০ মিনিটে মহাযোগে উপবেশন করলেন। দেহত্যাগের মাধ্যমে তিনি তাঁর স্থূল দেহ ত্যাগ করে সুক্ষ্ম দেহ ধারণ করে, ত্রিলোকে বিরাজ রইলেন। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের (১২৯৭ বঙ্গাব্দ) ১৯ শে জ্যৈষ্ঠ ১৬০ বছরের পুরাতন মানবদেহ পরিত্যাগ করার আগে লোকনাথ সবাইকে বলে যান — ‘আমি নেই এ কথা তোমরা কখনো মনে করবে না – আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকবো।’
.লোকনাথ বাবা দেহাবসানের অন্তিম মূহুর্তে বলে গেছেন — ‘ওরে তোরা চিন্তায় এত কাতর হচ্ছিস কেন? আমি কি মরে যাব? কেবল আমার জীর্ণ দেহটা পাত হবে। আমি যেমন আছি, ছিলাম তোদের কাছে ঠিক তেমনই থাকব। আমার মৃত্যু নেই।ভক্তি আর বিশ্বাস নিয়ে আমাকে একটু আদর করে ডাকলেই দেখবি তোদের কত কাছটিতেই আছি। এখন তোদের কথা শুনছি, কৃপা করছি তখনও শুনব, দেখিস ডাকলেই কৃপা পাবি। একথা মিথ্যা হবে না। আরে আমি যাবই বা কোথায়? সর্বভূতের অস্তিত্বে যে আমিই বিরাজ করছি। তোরা আত্মনিষ্ঠ হয়ে ভক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চল। তোদের বাধা দেবে কে? তোরা যে আমারই সন্তান। আমার সন্তানের উপর কারো শাসন চলবে না। আমি উপদেশ করছি না এ আমার আদেশের স্থল। তোরা আমায় ছাড়া নস, এই ভাবটি ভূলিস না। আমি তোদের মধ্যেই আছি, তোদের মধ্যেই থাকব। আমি নিত্য, আমি অবিনাশী।’