হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গোবরখলা এলাকার বাসিন্দা সফিকুর রহমান যে ৩লক্ষ জাল টাকা সহ র্যাব- ৯সিপিসি -২ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গ্রেফতার করেন!
গ্রেফতারকৃত প্রতারকের বিরুদ্ধে গত ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানা এবং গুলশান থানায় পৃথক দুটি প্রতারণা মামলা হয়।
এছাড়াও চুনারুঘাট থানায় তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের মার্চ এবং মে মাসে যথাক্রমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এবং ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা রয়েছে।
আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গ্রেফতারকৃত প্রতারকের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে র্যাব একটি মামলা দায়ের করে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়!
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ২২) ইং বিকালে হবিগঞ্জ বিচারক আদালতে মাধ্যমে জাল টাকার ব্যবসায়ী পতারক সফিকুর রহমান কে কারাগারে প্রেরণ করেন।
প্রশাসনের সুত্রে জানা যায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার দেওরগাছ ইউনিয়নের কাচুয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশী ৩ লক্ষ জাল টাকাসহ সফিকুর রহমান নামের পেশাদার প্রতারককে গ্রেফতার করেন!
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার গোবরখলা এলাকার বাসিন্দা মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে মোঃ সফিকুর রহমান (৫৫)।
র্যাব -৯সিপিসি -২ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘ দিন যাবৎ সীমান্ত এলাকা থেকে জাল টাকা সংগ্রহ করে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের আভিধানিক দল জাল টাকাসহ প্রতারকদের গ্রেফতার করার ব্যাপারে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে!
এবং প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পেশাদার প্রতারক মোঃ সফিকুর রহমানকে জাল টাকাসহ গ্রেফতার করেন!
র্যাব এর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই প্রতারক চক্র বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে।
গ্রেফতারকৃত প্রতারক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে তার লক্ষ্যে বস্তু বানাতো এবং জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে চক্রটি প্রতি ১ লক্ষ জাল টাকা ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতো।
চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং যেকোন পর্যায়ে জাল টাকার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা নজরদারী এবং অভিযান অব্যহত রয়েছে!