কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ(রিয়াদ উদ্দিন)
মহান স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম বাঙালী , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে রামু সেনানিবাসে পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া সদর দপ্তর কক্সবাজারের অধীনস্থ সকল ব্রিগেড/ ইউনিট/ প্রতিষ্ঠানসমূহে করোনা প্রটোকল অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটি শুরু হয় পরবর্তীতে রামু ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার- ৩ আসনের সাংসদ জনাব সাইমুম সরওয়ার কমল, এমপি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুরে সেনানিবাসের সেপকস কলকন্ঠে সেনানিবাসের সকল পদবীর সেনাসদস্যের শিশুদের দ্বারা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।বিকেলে রামু সেনানিবাসের চিলড্রেন ক্লাবে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চিলড্রেন ক্লাবের সভানেত্রী মিসেস রাশিদা আহসান উপস্থিত ছিলেন। রামু সেনানিবাস এর সকল শিশুরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন । এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল শিশুরা যাতে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারন করে সামনে এগিয়ে চলায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে সেনানিবাসের সকল মসজিদে বাদ যোহর জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকলের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।সেনানিবাসের সকল ব্রিগেড/ ইউনিটে জাতির পিতার জীবনাদর্শ, দেশগঠনে রাজনৈতিক অবদান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা, বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক চিত্র এবং জাতির পিতার জীবনীর উপর আলোচনা ও ভিডিও/স্থির চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে প্রতিটি ব্রিগেড/ইউনিটের সৈনিক মেসে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
পরে সন্ধায় দিবসটি উপলক্ষে সেনানিবাসে একটি মনোমুগ্ধকর সৈনিক সন্ধ্যা/সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিওসি, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ ফখরুল আহসান । অনুষ্ঠানে সেনানিবাসের সকল অফিসার্স, জেসিও’স, সৈনিক ও তাদের পত্নীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দিনটি যথাযথ মর্যাদায় জমকালোভাবে উদযাপনের জন্য সেনানিবাসের সকল ব্রিগেড/ ইউনিট/ প্রতিষ্ঠানসমূহে ব্যানার স্থাপনসহ সেনানিবাসের প্রবেশপথ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে সৌন্দর্য বর্ধন ও আলোক সজ্জার আয়োজন করা হয়।