বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তারের সভাপতিত্বে ও আবদুল গণির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি ০৫-আসনের সংসদ সদস্য মেজর(অব:) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন, অফিসার ইনর্চাজ জোবাইর সৈয়দ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর এই বলিষ্ঠ ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা।
এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭-ই মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। এই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম জনযুদ্ধে পরিণত হয়। ঐতিহাসিক এই ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এক সাগর রক্ত আর ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র।
পরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে পুরস্কিত হয়েছেন বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল সাহারা শাহী, তাজনুবা আসফা, আল আমিন রোম্মান, মহিমা দেবনাথ। ওইসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভীনসহ উপজেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের নের্তৃবৃন্দ।