চাঁদপুরে মতলবে সারা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিরুল ইসলাম রাসেল এর মহৎ উদ্যোগে মতলব উন্মুক্ত পাঠাগারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল ইসলাম রাসেল চাঁদপুর জেলায় একজন নবীনদের আইডল হিসাবে কাজ করছেন সার্বক্ষণিক। সে সর্বদাই ব্যতিক্রম উদ্যোগ হাতে নিচ্ছে। তারই একটি উদ্যোগ হলো “মতলব উন্মুক্ত পাঠাগার”। অদ্য বিকাল স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের সম্মানার্থে মোহনপুর ঘাটে পূর্বের ধারাবাহিকতায় নদীপাড়ি দেওয়া যাত্রীদের জন্য পাঠাগার স্থাপন করেন। মূলত এলাকার লোকজন লঞ্চ যোগে ঢাকা,চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ যাতায়াত করে। অনেক সময় তারা লঞ্চের অপক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টায় বসে থাকেন যা অত্যান্ত বিরক্তি কর। এ যাত্রা বিরতির মধ্যে অসহ্যবোধ না করে জ্ঞান অর্জনে লক্ষ্যে “মতলব উন্মুক্ত পাঠাগার” যাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর কমাতে অনন্য ভুমিকা রাখছে। যাত্রীরা এখন আর নৌযানের অপেক্ষায় বিরক্তি বোধ করবে নাহ।
শুধু লঞ্চ ঘাটেই নয় সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমিরুল ইসলাম রাসেল মতলব উত্তর উপজেলার ও চাঁদপুর জেলর বিভিন্ন জনসমাগম অথবা বিশেষ স্থানে ক্রমান্বয়ে এই পাঠাগার নির্মান করছে সারা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে।
প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল ইসলাম রাসেল বলেন, ইতিমধ্যে ১০০টি পাঠাগার স্হাপনের উদ্দ্যোগ হাতে নিয়েছে সারা ফাউন্ডেশন। এরই মধ্যে ৮ টি পাঠাগার স্হাপন করা হয়েছে। মানুষ যেন জ্ঞান অর্জন করে মানবিক মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে সেই জন্যই এ ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। দেশ বিদেশী পর্যটকরা মোহনপুরে ঘুরতে আসেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মানুষ হাতের পাশেই পছন্দের বই পেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন সেই লক্ষেই কাজ করছি।
মহনপুর লঞ্চ ঘাটে আজ ২৫/২/২২ তারিখে সারা ফাউন্ডেশনের মতলব উন্মুক্ত পাঠাগার ও ভাসামান লাইব্রেরী উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সংগঠনের উদ্যোক্তা আমিরুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে সাংবাদিক সুমন সরদার ও সানি ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাজী মিজানুর রহমান- উদ্যোক্তা মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র লিমিটেড।
বিশেষ অতিথি কাজী হাবিবুর রহমান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জনাব লতিফ মিয়াজী- সভাপতি প্রেস ক্লাব মতলব উত্তর উপজেলা, মনিরুল ইসলাম মনির-সাধারণ সম্পাদক, মতলব উত্তর প্রেস ক্লাব, সফিকুল ইসলাম রানা, খোকন প্রমুখ।
এই সময় অতিথিরা বলেন এই মহৎ কার্যক্রম ভ্রমণ পিপাসু ও বইপ্রেমীদের মাঝে জ্ঞানের আলো বিস্তারে যথেষ্ট ভুমিকা রাখবে। সমাজ থেকে হিংসা,বিদ্বেষ, মারামারি, নেশা দুর করার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। এটি হতে পারে তার একটি মাধ্যম।
এই উন্মুক্ত পাঠাগারের লাইব্রেরিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু আত্মজীবনী, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশ সম্পর্কে নানা বই। যার মাধ্যমে পাঠকদের জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি দেশ ও মাতৃকার প্রেম জাগ্রত হবে।