মো: মাসুদ রানা,কচুয়া প্রতিনিধি ॥
সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় জেলায় সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল রোস্তম আলী ডিগি কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার মান উন্নয়নে যেমন ছিল শিক্ষক,গর্ভনিংবডির সদস্য,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ফলে শিক্ষকদের সঠিক পাঠ দানের কারনে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এতে কচুয়াবাসীর পাশাপাশি জেলায় শ্রেষ্ঠ হয়েছে এ কলেজটি। সবার নজর এখন রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে দিকে।
জানা যায়, ২০২১ সালে পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৪৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। যার মধ্যে ৪২৬জন পরীক্ষার্থী সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হয়। যার শতকরা পাসের হার ৯৮.৮৪ ভাগ। ৪২৬ জন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১১২জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে এ কলেজটি। এদিকে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ওই কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম মজুমদার। তাঁর মৃত্যুজনিত কারনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হয় ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম মজুমদার বেচেঁ থাকলে হয়তো অনেক আনন্দিত হতেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার মান উন্নয়ন,সঠিক পাঠদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৯৫ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল করে আসছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ,গর্ভনিংবডির সভাপতি ও সদস্য,শিক্ষক,অভিভাবকদের দিক পরামর্শে এ ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মরহুম রফিকুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্ববধানে ২০২১ সালে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো আরো অনেক খুশি হতেন। তিনি আমাদের মাঝে স্মৃতিচারন হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান ও ফলাফলকারী প্রতিষ্ঠান যাতে হতে পারি এজন্য সকলের পরামর্শ,দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে চাঁদপুর জেলায় পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ এইচএসসিতে শ্রেষ্ঠ ফলাফল করায় আনন্দিত এলাকাবাসী।