ঠাকুরগাঁও জেলার পীর গঞ্জ উপজেলার দম্পত্তির ছবি নেট দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। তথ্যমতে স্বামী একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করা যুবক, স্ত্রী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করা…। স্বামী চেষ্টা করছে কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার,তাই এই মৌসুমে আলুর চাষ করেছেন,স্বামী ব্যস্ত কৃষি জমিতে পরিচর্যা নিয়ে, সকাল গড়িয়ে দুপুর,স্বামী ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত… স্ত্রী স্বামীর জন্য নিয়ে এসেছেন দুপুরের খাবার এবং পানি,স্বামীকে ক্ষুধার্থ রেখে স্ত্রী বাসায় একা খান নি।মাঠে খাবার নিয়ে দুজনে এক সাথে খাচ্ছেন, দুজন ই উচ্চ শিক্ষিত হলেও কারো মাঝেই অহংকারের লেশ নেই, এটাই পরিপূর্ণ শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসলেই কাজকে সম্মান করলে সম্মান,স্নেহ,মর্যাদা পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের চারপাশের মানুষজনকি তাই, তাদের এখনো প্রকৃত শিক্ষার অভাব রয়েছে। একজন শিক্ষিত তরুণ তরুণী যখনই মাঠে কাজ করে তাদের সমালোচনার শেষ নেই। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য যেন তারা বুজতে চান না। যদিও শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনের জন্য জ্ঞান আহরণ করা। কিন্তু সমাজ বাস্তবতায় আমরা কতটুকু আত্মনির্ভরশীল জাতি হতে পেরেছি। শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা সমাজ থেকে কতটুকু অন্ধত্ব দুর করতে পেরেছি তা বেকারত্বের পরিস্থিতি দেখে ই আন্দাজ করা যায়। আমরা সমাজের অন্ধ ব্যক্তিদের দৃষ্টি কটু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জাতির অধিকাংশ শ্রমশক্তি পরনির্ভরশীল হয়ে পরাধীনতার ভার বইছি।
এই শিক্ষিত দম্পতি থেকে আমাদের তরুণ প্রজন্মের অনেক কিছু শিখার আছে। আর যারা বলে গাছ তলাতে সুখ নেই,
তারা শিক্ষা নিতে পারে তাদের এমন মা, মাটি ও প্রকৃতির ভালোবাসার বন্ধন থেকে।