মতলব দক্ষিণ উপজেলার বড়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্নে বাবুর হাট মতলব ফেন্নাই সড়কে সন্ধ্যা ০৫ঃ৪৫ মিনিটে মাইক্রো (ঢাকা মেট্রো- চ ১৯-৮০১২) ও সি এন জি (চাঁদপুর -থ ১১-২৭৯৬) মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মতলব উত্তরের, ঘনিয়ার পাড়ের মোঃ জসিম মোল্লা (৪৯) নামের একজন মারা যান,স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মুমূর্ষু অবস্থায় আরো চারজনকে চাদঁপুর সদর হাসপাতালে পাঠালে, হানিফ বেপারী (২৮) নুপুর (১৪) এবং ৭০ উর্ধ্বে বৃদ্ধা সহ, সেখানে আরো ৩ (তিন) জন মারা যান।
মতলব দক্ষিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে প্রতর্ক্যদর্শিরা জানান বেপরোয়া গতিতে গাডী চালানোর কারনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালানোর কারনে, বাবুর হাট- ঢাকা ফেন্নাই সড়কে প্রায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।সড়ক দুর্ঘটনায় অপমৃত্যু রোধে, বিষয়টি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং জেলা, উপজেলার স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী পরিবার ও সাধারণ জনগন। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি জানান, হাসপাতালে ৪ জন কে মুমূর্ষ অবস্থায় আনা হয়েছিলো। আমি তখন দেখতে পাই ২ জন পূর্বেই মারা গেছে। আমি বাকি ২ জনকে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একজন মারা যান। একজন এখনো ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই শাহরিন দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, মতলব থানায় মৃত সিএনজি ড্রাইভারকে রাখা হয়েছে। এখানে পাওয়া মৃত ৩ জনকে আমরা মর্গে নিয়ে যাচ্ছি। চাঁদপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে নিহতদের পরিচয় প্রসঙ্গে জানা যায়, চাঁদপুর পুরানবাজারের পশ্চিম শ্রীরামদীর হারুনের ছেলে হানিফ বেপারী (২৮), শহরের ৭নং ওয়ার্ডের জেটিসি কুলিবাগানের আজিম জামানের মেয়ে তানিয়া আক্তার নুপুর(১৮) এবং অজ্ঞাত ৭০ বয়স্ক বৃদ্ধা নারী মতলব উত্তরের নুরুরকান্দী গ্রামের নুরজাহান বেগম(৭০) । এছাড়াও সিএনজি চালক মতলব উত্তরের ঘনিয়ারপাড়ের বাসিন্দা জালাল উদ্দীন মোল্লা(৪৫)। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজিটি বাবুরহাট থেকে ছেড়ে মতলবের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো এবং মাইক্রো বাসটি বাবুরহাট- পেন্নাই সড়ক পথে আসছিলো। পরবর্তীতে সিএনজি (চাঁদপুর-থ-১১-২৭৯৬) ও মাইক্রো বাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ -১৯-৮০১২) মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় ঘন্টাখানেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে মতলব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ওয়ানমিনিটের পাশের ভাড়াটিয়া শাহজাহান তপাদারের মেয়ে জান্নাত আক্তার পপি(১৯) বলেন, আমরা চাঁদপুর থেকে বাবুরহাট নেমে সিএনজি বদল করে মতলব বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। সিএনজিতে আমি এবং আমার বান্ধবী নুপুর ও বৃদ্ধা নারীসহ পিছনে বসা ছিলাম। আর সামনে হানিফ ও সিএনজি চালক ছিলো। কিভাবে কি হলো তাও আমি বলতে পারছি না!খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, আহত পপি এবং নিহত নুপুর ও হানিফ বিয়ে বাড়ীর অনুষ্ঠানে স্বপ্নকুঁড়ি সংগঠনের নৃত্যশিল্পী। ধারনা করা হচ্ছে মতলবে কোন এক বিয়ে বাড়ীতে তারা নাচের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছিলো। এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মহিউদ্দিন মিয়া জানান, তারা নাচের উদ্দ্যেশ্যে এসেছিলো কিনা তা জানতে পারিনি! তবে ঘটনাস্থল থেকে নিহত চালক ও তার সিএনজি এবং মাইক্রো বাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি।