অপরাধী যত বড় চতুর এবং শক্তিশালী হোক না কেন বাংলাদেশে রেপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর হাতে তাকে গ্রেফতার হতেই হবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সহ বাংলাদেশ পুলিশ এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল পত্রিকার চিফ রিপোর্টার পরিচয়দানকারী হারুন-অর-রশিদ অনেকের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। অনেকদিন যাবৎ আত্মগোপন করে থাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করে আদালত।এর পরেও সে ছিল অধরা। সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা এই প্রতারক। অনেকেই এই পত্রিকার সাংবাদিক হয়েও অর্থ আত্মসাতের প্রতারণার সাথে জড়িত আছে বলে জানা যায়। উত্তরাসহ আশেপাশে যত এম এল এম কোম্পানি আছে তাদেরকে অনেক দিন যাবৎ শেল্টার দিয়ে আসছিল এই নামসর্বস্ব পত্রিকা কর্তৃপক্ষ। গতকাল গভীর রাতে রেপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারক হারুন-উর-রশিদকে উত্তরখান মাস্টার পাড়ার একটি বাজার থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাকি প্রতারকরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা যায়। মোখলেসুর রহমান মাসুম এর বিরুদ্ধে ২০ হাজার ইয়াবা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। অসামাজিক কার্যকলাপ সহ মাদক ও চাঁদাবাজি ব্যবসা করে আসছে অনেকদিন যাবত। তাদেরকে নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করলেও তারা অবৈধভাবে টাকা পয়সা খরচ করে অনেকদিন যাবত বহল তবিয়তে থাকার পর অবশেষে রেপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর হাতে গ্রেফতার হলো এই প্রতারক চক্রের সদস্য। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।