ভুরুঙ্গামারী বাগভান্ডার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যায়ের। প্রধান শিক্ষক ও সকল শিক্ষকরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখি করতে বাড়ী বাড়ী ঘুরে তাদের পড়াশুনার জন্য সর্বদা নিয়োজিত ফলে মাধ্যমিকের ফলাফল সন্তোষজনক।
বাগভান্ডার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি নন্দন কাড়তে কুড়িগ্রাম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে
ও ঠিকাদার ফারুক হোসেন
মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন। শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষকরা নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে । মনোরম পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে উপকৃত শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষার মান উন্নত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৩ সালে ভুরুঙ্গামারী জামতলা মোড় থেকে পশ্চিমে বাগভান্ডার সীমান্তবর্তী এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে প্রতিষ্টিত হয়। প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন সহ সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারী ১৭জন এবং শিক্ষার্থী ৪শত ৮৭জন। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের করাচ্ছে বিনা বেতনে পাঠদান। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত শিক্ষাপ্রাঙ্গণ। অত্র প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষে বিভিন্ন ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করাসহ অনেকে ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে জীবন অতিবাহিত করছেন।
বাগভান্ডার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফল ও একাডেমিক ভবন না থাকায় শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কুড়িগ্রাম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ও ঠিকাদার ফারুক হোসেন মাধ্যমে ২০২১সালের মার্চ মাসে বিধি মোতাবেক নির্মাণ শুরু হয় চারতলা বিশিষ্ট ১৬কক্ষের একাডেমিক ভবন। ভবন নির্মাণের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে।
বাগভান্ডার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে এসেছি। শিক্ষকরা আমাদের সুন্দরভাবে লেখাপড়া করাচ্ছেন। নতুন ভবনটিতে পাঠদান শুরু হলে আমাদের কষ্ট লাঘব হবে।
বাগভান্ডার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলী আহম্মেদ, রেজাউল আলম, শাহনাজ পারভীন জানান, করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছি। বিদ্যালয়টি উপজেলায় ফলাফলে সন্তোষজনক।
বাগভান্ডার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন জানান, ম্যানেজিং কমিটি, এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের ফলাফল সন্তোষজনক। শিক্ষক-কর্মচারী সকলের সমন্বয়ে সঠিকভাবে পাঠদান করে আসছি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কাউকে যেন আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াতে না হয় সেদিকে নজর রাখছি। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পড়ালেখা করতে পারে সে বিষয়ে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি