দিনাজপুরের বিরামপুরে নেই কোনো বাইপাস সড়ক। এতে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী দূরপাল্লার শত শত যানবাহন পৌর শহরের মধ্যে নতুন নির্মিত সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এতে নিত্য যানজটের কারণে শহরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ শহরবাসীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা ৷
সড়কের পাশে রয়েছে দুটি মহাবিদ্যালয়, স্কুল, মাদ্রাসা, কিন্ডার গার্টেন স্কুল, উপজেলা পরিষদ, সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়, থানা, শপিংমল ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ ও বিরামপুর-মিঠাপুকুর সড়কটি বিরামপুর পৌর শহরের মধ্য দিয়ে গেছে। এ সড়কের ওপর দিয়ে নয়টি রুটে প্রতিদিন দূরপাল্লার কোচ, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও সৈয়দপুর থেকে আসা সব ধরনের যানবাহন এ সড়ক দিয়েই চলাচল করে। এতে সড়কে চাপ বেড়েছে।
তবে, ওই সড়কের সঙ্গে ঘোড়াঘাট-নবাবগঞ্জ-হাকিমপুর উপজেলার সড়ক সংযোগ রয়েছে। নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট উপজেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ না থাকায় ওই এলাকার রেলযাত্রীরা বিরামপুর স্টেশন থেকে শহরের মধ্য দিয়ে এই সড়ক পথে যাতায়াত করেন। ফলে এই রাস্তায় যানবাহন লেগেই থাকে
উপরন্তু কোনো বাস টার্মিনাল বা বাইপাস সড়ক না থাকায় শহরের যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে দূরপাল্লার বাসগুলো। রাস্তার ওপরেই দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে।
বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী জানান, খুব শিগগির বিরামপুর পৌর শহরে যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। পৌর শহরে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।