লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দায় মাসুম ভুইয়ার বিরুদ্ধে পৌর গরুবাজার ও শিশু পার্ক ইজারার দরপত্র সিডিউল অবিনব কায়দায় ঘায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্ব গ্রহনের ৭ দিনের মাথায় হঠাৎ এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ ও বিব্রত প্রকাশ করেছে স্থানীয় ঠিকাদার ও ব্যাবসায়ীরা।
অভিযোগ উঠেছে, প্রায় কোটি টাকার ও বেশী মুল্যের ২০২১-২২ সালের ১ সনা মেয়াদী পৌর শিশু পার্ক এবং গরু বাজার ইজারা মেয়র তার মনোনীত কয়েকজনকে দিতে সিডিউল বিক্রীতে কঠোর নিয়ন্ত্রন ও কৌশলে নিয়ম রক্ষার কাজ করে তিনি দায় সেরেছেন। আর তাই সোমবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ইজারার সিডিউল ক্রয়-বিক্রয়ের নিধারিত সময় থাকলেও স্থানীয় ঠিকাদার ও ব্যাবসায়ীরা সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্না দিয়ে ও তারা সিডিউল ক্রয় করতে পারেনি বলে তারা অভিযোগ করেন। এতে সরকার বিপুল পরিমানের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সহ শুরু থেকে এধরনের অনিয়মে পৌরবাসী সামগ্রীক উন্নয়নের মারাতœক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মত স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক সহ বিজ্ঞজনরা। ফলে তারা অনিয়মের আশ্রয় নেয়া এ ইজারা বাতিলের দাবী সহ পুনঃরায় ইজারা গ্রহনের দাবী জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও লক্ষ্মীপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ সালের ১ সনা মেয়াদী পৌর শিশু পার্ক এবং গরু বাজার ইজারা (লীজ) দেওয়ার জন্য নামে-স্বনামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও সম্প্রতি শহরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ম রক্ষার মাইকিং সহ বিজ্ঞপ্তি দেন। কিন্তু বাদ স্বাধে দরপত্রের সিডিউলের নিয়ম অনুযায়ী ইজারায় অংশ নেয়া স্থানীয় ঠিকাদার ও ব্যাবসায়ী হাশেম আহম্মদ রুপম, আহাদ,মাকসুদ সহ কয়েকজন অভিযোগ করেন, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের শেষ দিন বা তার আগেও কয়েকদফা পৌরসভা সহ সংশ্লিষ্ট শাখায় বার বার ধর্না দিয়েও তারা সিডিউল ক্রয় করতে পারেনি।
বরং সংশ্লিষ্টরা জানায়, মেয়রের সাথে যোগাযোগ কিংবা তাদের কাছে সিডিউল পৌছানোর পর তা বিক্রিতে একধরনের নিষেধাজ্ঞা সহ স্বাক্ষরের পর পরেই তা ফেরৎ নেওয়ায় মুহুর্তেই তা ঘায়েব হয়ে বলে জানায় তারা। ফলে ইজারার সিডিউল বিক্রীতে রাজনৈতিক কতিপয় ব্যাক্তির সিন্ডিকেটের হস্তক্ষেপ এবং মেয়র বা পৌর কর্তৃপক্ষের কঠোর নিয়ন্ত্রনে নেওয়ায় নিয়মানুযায়ী কোথাও তেমন কোন সিডিউল ক্রয়-বিক্রী হয়নি। এতে করে পরিকল্পিতভাবে মেয়র তার মনোনীত নির্ধারিত ব্যাক্তিদের দিয়ে নিয়ম রক্ষায় শিশুপার্কের মাত্র ৭ টি এবং গরু বাজারের ৫ টি সিডিউল বিক্রি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
ফলে নবাগত মেয়রের শুরু থেকে এ ধরনের অনিয়ম ও কারসাজিতে শুধু ইজারায় অংশ নেওয়া ব্যাবসায়ী ঠিকাদাররা বঞ্চিত হয়নি সরকার হারিয়েছে বিপুল পরিমানের রাজস্ব থেকে। আর পৌরবাসী তাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নবাগত মেয়র মোজাম্মেল হায়দায় মাসুম জানান, নিয়মানুযায়ী পত্রিকার বিজ্ঞাপন সহ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার গরুবাজার ও শিশু পার্কের সিডিউল বিক্রি যাবতীয় কার্যাদী সম্পাদন করা হয়েছে। ইজারার নিয়ন্ত্রন ও অনিয়ম সঠিক নয় বলে দাবী তার।