রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ চার ডাকাত আটক সিরাজদিখানে বিক্রমপুর নামকরণে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় আমিরাতে বোয়ালখালী চরণদ্বীপ পাঠানপাড়া প্রবাসীদের জনকল্যাণমূলক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ । ষোলঘরে  জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  শ্রীনগরে তন্তরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ-চায়না ক্লাব রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশাল শোডাউন, ও রাজনীতির ট্রাম কার্ড-দৈনিক বাংলার অধিকার

শ্যামল সরকার,চাঁদপুর প্রতিনিধি, / ১৬১ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের একঝাঁক সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে আহবায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সেবা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠন করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের গোপালগঞ্জ মহকুমায় আসেন তৎকালীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী। তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান তখন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের ছাত্র। সেই সময় তার নেতৃত্বে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলা হয়। ৫০ এর দশকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান করা হয়েছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানকে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কে.এম.দাস লেনের রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম কাউন্সিলে জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। তখন থেকেই স্বেচ্ছাসেবীদের এই সংগঠনের সাংগঠনিক গোড়াপত্তন ঘটে। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলার জনগণের আন্দোলন সংগ্রামের উত্তাল সময়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাককে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান করা হয়। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনে নিরলসভাবে কাজ করেন। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে এই সংগঠনের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়ে। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা অনুভব করেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি স্থায়ী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে আহবায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে নতুন আঙ্গিকে সুদৃঢ় সাংগঠনিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যাত্রা শুরু হয়। আওয়ামীলীগের সাংবিধানিক সহযোগী সংগঠন হিসেবে ‘বাহিনী’ শব্দ বাদ দিয়ে ‘লীগ’ শব্দটি যুক্ত করা হয়। ছাত্রলীগ এই সংগঠনের প্রাথমিক ভিত্তি। তাই মূলনীতি হিসেবে ছাত্রলীগের মূলনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে সেবা, শান্তি ও প্রগতি করা হয়। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রনেতা পংকজ দেবনাথ।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ. ফ. ম বাহা উদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশব্যাপী সুসংগঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সংগঠনটি পরিণত হয় নেত্রী শেখ হাসিনার বিশস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ তারই অংশহিসেবে গত এড.হেলাল হোসেনকে সভাপতি ও ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল কে সাধারণ সম্পাদক করে ৬০সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ৩০ শে জুলাই অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ চাঁদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ তার পর থেকেই তাদের একের পর কর্মসূচি পালনের মধ্যে দিয়ে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে যে তারাই চাঁদপুরের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ফেক্ট। শেখ হাসিনার শক্তিশালী ভেনগার্ড। আর সেদিন ছিল তাদের সবচাইতে বড় শোডাউন।

মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশাল শোডাউন নিয়ে অংশ গ্রহন।১৮ ডিসেম্বর (শনিবার) জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রাটি দলীয় কার্যালয় হতে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। জেলা আওয়ামী লীগের আনন্দ শোভাযাত্রায় চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সর্বকালের সর্ব বৃহৎ শোডাউন করেন। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ হেলাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোরসেদ জুয়েল।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লিটু, জাহিদুর রহমান জাহিদ, আতাউর রহমান পাটোয়ারী, জসীম উদ্দীন রাসেল, মাইন উদ্দিন আরিফ সুমন, ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, কাউছার উল আলম, মাসুদুর রহমান পরান, কামরুল হাসান কাউসার, পিন্টু সাহা, আনোয়ার হাওলাদারসহ চাঁদপুর পৌর ও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীগণ। সহ আরও ছয় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!