কচুয়া উপজেলার আমুজান ও আশ্রাফপুর গ্রামে দুটি বাড়িতে শুক্রবার রাতে পৃথক ভাবে দুধুর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ওই দুটি বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ৫লক্ষ টাকা ও ২৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়।
আমুজান তালুকদার বাড়ির হোমিও ডা. রুবেল জানান, রাত আড়াইটার দিকে আমার বাড়ির কলাপসিবল গেইটে তালা ভেঙ্গে ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে গৃহে প্রবেশ করে পরিবারের সকলকে মারধর করে রসি দিয়ে হাত-পা বেধেঁ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারির তালা ভেঙ্গে নগদ ৪ লক্ষ টাকা ও ৮ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও ২টি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায়।
একই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই কায়দায় আশ্রাফপুর চৌধুরী বাড়ির প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা চৌধুরীর নতুন বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাতদল বাড়ির কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ করে পরিবারের লোকজনদেরকে জিম্মি করে একই ভবনে মাহমুদা চৌধুরীর কক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৯ভরি ওজনের স্বর্নালঙ্কার, স্কুল শিক্ষিকা বাবলী রানী সরকারের কক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ৭ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়।
ডাকাতদল মালামাল লুট করার শেষে উভয় কক্ষের লোকজনকে একটি কক্ষে এনে দরজার বাহিরে সিটকারি লাগিয়ে দ্রুত চলে যায়। কক্ষে বন্দি হয়ে পড়া লোকজনদের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে কচুয়া থানা পুলিশ রাত ৩টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। ডাকাতির ঘটনায় গতকাল শনিবার চাঁদপুরের সিআইডি ও পিবিআই ব্রান্সের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, উক্ত দুটি বাড়ির ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কচুয়া: কচুয়ায় ডাকাতির ঘটনায় পরিদর্শন করছেন সিআইডির কর্মকর্তা ।