চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে স্বামীর বাড়ির পরিবারের লোকজনের সাথে অভিমান করে জান্নাত আক্তার (২০) নামে এক সন্তানের জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে গতকাল রবিকার বিকালে কচুয়া থানার এসআই মো. আরিফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরন করেছে।
গৃহবধু জান্নাত আক্তারের জেঠা আলী হোসেন,চাচাতো ভাই আলমগীর দেওয়ান ও ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, প্রায় ২ বছর আগে শ্রীরামপুর গ্রামের বাবা হারা মেয়ে জান্নাত আক্তারকে একই উপজেলার কড়ইয়া গ্রামের আবিদ আলীর ছেলে কাউছার আলমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের গৃহে ফাতেহা আক্তার ওরফে তাইয়্যবা (৭মাস) একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু তার স্বামী আলমগীর শ^াশুড়ি জয়নব ও ননদী তার সাথে বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক দ্বন্ধ ও কলহ করে আসত। এরই মাঝে গত ১মাস আগে জান্নাত আক্তারকে মারধর ও যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে তার ভাই সাইফুল ইসলাম কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই সময় বিয়ষটি সমঝোতার মাধ্যমে স্বামীর বাড়িতে তাকে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে স্বামীর বাড়িতে যেতেই না যেতেই পূনরায় তাকে বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরে গত ৪/৫ দিন আগে জান্নাত তার বাবার বাড়িতে অভিমান করে চলে যায় এবং গতকাল রবিবার দুপুর ১টার দিকে তার বাবার গৃহে আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ হত্যার জন্য জান্নাত আক্তারের স্বামী ও তার পরিবারকে দায়ী করেন নিহতার পরিবার।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার মামলা করলে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।