কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট স্পারবাঁধটি ফের ভাঙ্গনের মুখে পরেছে।গত শুক্রবার বিকেলে রাক্ষুসে তিস্তার গর্ভে একাংশ নিমিষেই ধ্বসে যায়।ধ্বসে যাওয়া স্পারবাঁধটিতে গত দুইমাস থেকে কয়েক হাজার জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলানো হয়।হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ায় স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়ে খরস্রোতের রুপ নেয়। স্পারবাধটির সামনের অংশ সুইচগেট থাকায় পিলারের সাথে পানি ধাক্কা লেগে স্রোতের গতিবেগ প্রবল বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাক হোয়েল সৃষ্টি হয়,ফলে স্পারের বাম পাশ্বে স্রোতের আঘাত হানার ফলে মহুর্তে ধ্বসে যায় স্পারের অংশটুকু।কুড়িগ্রাম জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মাহমুদ হাসান খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ছুটে আসেন ধ্বসে পড়া স্পারবাধটি পরিদর্শনে।স্পারটি রক্ষা করতে স্থানীয় জনসাধারণ ও পূর্বে থেকে স্পারের কাজ করা শ্রমিকদের দিয়ে ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত টানা ২৪ ঘন্টা ভয়েলগেট মেশিন দিয়ে প্রায় ৪০টি জিও টিউবের ব্যাগে বালু ভর্তি করে ধ্বসে যাওয়া অংশে ফেলে পূরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার মন্ডল বাবু বলেন, সরকার কোটি টাকা ব্যয়ে বুড়িরহাট স্পারবাঁধটি নির্মাণ করেছে অথচ প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলে স্পারবাঁধের বিভিন্ন অংশ নদীতে ধ্বসে যাচ্ছে।ধ্বসে যাওয়া অংশ পুনঃসংস্কার করার কয়েক দিনের মধ্যে আবার ধ্বসে যাচ্ছে।এতে সরকারে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।আমরা সরকারের কাছে স্থায়ীভাবে নদী শাসনের জোর দাবী জানাই।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মাহমুদ হাসান বলেন বুড়িরহাট স্পারটি ধ্বসে যাওয়ার খবর শোনা মাত্র আমি ঘটনাস্থলে এসেছি,ভোর ৫টা থেকে শুরু করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত একটানা কাজ করে ধ্বসে যাওয়া অংশ টুকু জিও টিউবের বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামত করতে সক্ষম হয়েছি।তিস্তার অন্যান্য জায়গায় ভাঙ্গন ও মেরামত প্রসঙ্গে বলেন তিস্তায় মেগা প্রকল্প নিয়েছে সরকার তাই স্থায়ীভাবে কাজ করা হচ্ছেনা।এমারজেন্সিতে যেটুকু কাজ করছি সেটার বরাদ্দ অপ্রতুল।সরকার বরাদ্দ বাড়ালে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয় ।