কথায় আছে “পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসুতি”। সৌভাগ্য আপনা-আপনি আসে না। দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও ঘনিষ্ট সাধনার প্রেক্ষিতেই সৌভাগ্যের দেখা মেলে।
ফাইল ফটো/
অর্থাৎ নিজ মেধা, কৌশল ও কর্মশক্তির ইচ্ছার ফলেই ভাগ্য বদলায়। ঠিক তেমনি ময়মনসিংহের নান্দাইলে গরু পালন করে ফরিদ মিয়া নামে এক যুবক তার ভাগ্যকে বদলে দিয়েছে।
(ফাইল ফটো)
জানাযায়, নান্দাইল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাটলিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল সোবহানের ছোট ছেলে ফরিদ মিয়া (২৪)। সে ২০১৩ সালে আলিম পাশ করে সৈনিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু সে সরকারের পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী নিয়োগের মাঠে অংশ গ্রহন করে ব্যর্থ হয়েছে। চাকুরির আশায় দিশেহারা হয়ে বেকার অবস্থায় নড়বড়ে চলছিল জীবন।
ঠিক তখনি নান্দাইল উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের ক্রেডিট সুপারভাইজার বর্তমান সহকারি যুব উন্নয়ন অফিসার রতন চন্দ্র দাসের সাথে দেখা মিলে। তার সহযোগীতায় ময়মনসিংহ জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করে।
গবাদি পশু, হাসঁ-মুরগী পালন, মৎস্য চাষ ও গবাদি পশু-পাখির প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রথম স্থান অর্জন করে। প্রশিক্ষন নিয়ে নিজ গ্রাম থেকেই গবাদি পশু-পাখির চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করে।
এক পর্যায়ে নিজ উপজেলা সহ পার্শ্ববতী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও এই চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি অল্প টাকা জমিয়ে কোনমতে একটি গরু (বাছুর) ক্রয় করে এবং তা পালন শুরু করে। পরে সেই গরুটি বিক্রি করে তার সাকুল্য টাকা দিয়ে আরো দুইটি গরু ক্রয় করে পুনরায় পালন করতে থাকে। বর্তমানে তার বাড়িতে ১৫টি গরুর একটি মিনি খামার ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে। যার নাম রেখেছে আল্লাহ ভরসা ক্যাটল ফার্ম। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এখন তার সুখী পরিবার।
<img src=”https://dainikbanglarodhikar.com/wp-
(আরও সংবাদ জানতে আমাদের সাথেই থাকুন)
এছাড়াও সে গবাদী পশুর উন্নয়নে আরো প্রশিক্ষন গ্রহন করে। এ বিষয়ে ফরিদ মিয়া দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ৫০টি গরুর মালিক সহ বড় ধরনের গবাদী পশুর ফার্ম তৈরী করার জন্য শুধু ভবিষ্যত পরিকল্পনাই নয় বাস্তবায়নের পথে হাটছি। তিনি বলেন, মেধা ও শ্রম কখনও বৃথা যেতে পারেনা। শুধু পরিকল্পনা ও সে অনুযায়ী বাস্তবায়নে অগ্রসর হওয়াই ভাগ্য বদলের মূল বিষয়। ফরিদ মিয়া আরো বলেন শখ করে এক জোড়া কবুতর কিনেছিলেন তার এক জোড় কবুতর হতে এখন ৫০ জোড়া কবুতর আছে। প্রতি মাসে অনেক বাচ্চা দেয়। যার নিজের পরিবারের মাংসের চাহিদা মিটানো সহ বিয়েতে, কারো মাংসের প্রয়োজন হলে আমার খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।
এছাড়া ফরিদ মিয়া,দৈনিক বাংলার অধিকার, সাপ্তাহিক চলন বিলের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে। তার আশা বেকার সকল যুবকই মেধা, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য বদল করুক।