লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দ্বিতীয় ধাপে আরো ৫ শতাধিক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় নতুন পাকা ঘর। এসব পরিবারগুলোকে জুনে দুই শতাংশ জমির উপর নির্মান করা প্রতিটি ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেয়ে বেজায় খুশি উপকারভোগীরা। জেলা প্রশাসনের তদারকি ও উপজেলা প্রশাসনের নিবিড় পর্যবেক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় ৫০০ টি বাসগৃহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বিজয় । তিনি আর জানান মুজিব শতবর্ষে এ ঘর গুলো সুফলভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তার এই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫ শতাধিক পরিবারের জীবন বদলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রামে ভূলুয়া নদীর পাড়ে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য টেকসই এই ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। দুই শতাংশ জমির উপর প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১লাখ ৯০ হাজার টাকা।
চরকাদিরার ফজুমিয়ারহাট বাজারের পূর্ব পাশে ভূলুয়া নদীর পাড়ে, চরবসু, বটতলী ও চরলরেন্স সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসবাসের উপযোগী সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য টেকসই এই ঘর নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করেন প্রকল্প সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন ভিত্তিক সঠিকভাবে যাছাই বাছাই করে পরিবারগুলোকে মনোনীত করে বাসগৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ চলছে। পাশাপাশি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ও মান পরীক্ষা করতে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বধানে নতুন এই পাকা ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, দুর্যোগ সহনীয় ঘরগুলো নির্মাণে এটি সরকারের মহতি উদ্যোগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
গৃহহীন পরিবারে জন্য ঘর পরিদর্শন করেন কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) পুষ্প পুদম চাকমা।
উল্লেখ্য, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ ৩ লাখ ২০ হাজার ৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।