রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কচুয়ার নূরুল আমিন চাঁদপুর জেলার  শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত দাকোপে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যান ফ্রন্ট খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে শারদীয়া দুর্গ পুজো উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা মিরসরাইয়ে ইসলামী পাঠাগারের উদ্বোধন ও কর্মী সম্মেলন নান্দাইলে মামুনুল হকের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বকশীগঞ্জের মুনীরা বেগম জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত বিএনপি হলো ভালো মানুষের দল: খোরশেদ আলম কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় বিএনপি ২৫০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে রুমিন ফারহানা পাঁচবিবিতে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনায় পাথরের আঘাত খেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত মিরসরাইয়ে ৭নং কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপির আলোচনা ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে মাদক বিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা চিকিৎসা সহায়তার মানবিক আবেদন মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে পাঁচবিবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

কুড়িগ্রামে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশংকা-দৈনিক বাংলার অধিকার

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ / ১৭৪ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ২ জুন, ২০২১, ৭:৫১ অপরাহ্ণ

‘রোদে গরমে কাজ করি আল্লাহ’র রহমতে আমাগো করোনার কোন ভয় নাই, করোনা আমাগো হবো না।’ এমনি ধারণা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের শ্রমিক নজরুল ইসলামের। একই কথা জানালেন অন্যান্য শ্রমিকরাও। এখানে শ্রমিকরা গরম এবং কষ্টকর কাজের দোহাই দিয়ে কাজের সময় এবং বিরতিকালীন সময়েও মাস্ক ব্যবহার করেন না। স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ভারতীয় শ্রমিকদের সাথে অবাধে মেলামেশার কারণে ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে এই অঞ্চলে।

সোনাহাট স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এই বন্দরকে ঘিরে প্রায় ৩হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে। আর এই বন্দরে প্রতিদিন ভারত থেকে একশ থেকে দেড়শ পণ্যবাহী ট্রাক আসা যাওয়া করে। এই ট্রাকের চালক ও হেলপারদের কোন ধরণের চেকআপ করা হয় না। তারা পণ্য নিয়ে এসে বাংলাদেশী শ্রমিকদের সাথে অবাধে মেলামেশা করে। হোটেলগুলোতে একসাথে বসে পানাহার করে। বেশিরভাগ ভারতীয় চালক ও হেলপাররা মাস্ক ব্যবহার করেন না। ফলে মারাত্মক করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে এই এলাকার লোকজন।

এ ব্যাপারে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার ছাগুলিয়া গ্রামের ড্রাইভার ইমরান জানান, “হাম লোক উধার মে চেক কিয়া। এধার হামলোক কো চেক কিয়া। বাঙগাল হোটেল মে খানা খিলায়া। মাস্ক হে না সাথ মে। দো-দো মাস্ক হে হামারা পাচ মে। বহুত গারমি হেয় না। একলা ঘুরনাহু। এলিয়ে নেহি মুখ মে।”

সোনাহাট স্থল বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে সারি সারি পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্ত গলিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বন্দরের জিরো পয়েন্টে কোন মেডিকেল অফিসার বা স্বাস্থ্য সহকারী নেই। রফিকুল ইসলাম নামে একজন ভাড়ায় নিযুক্ত কর্মী চেকপোস্টে ভারতীয় ড্রাইভারদের কাগজপত্র ও শরীরে স্প্রে করছে। তাদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ছেড়ে দিচ্ছে। এরপর এই শ্রমিকরা সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করে এদেশের লোকজনের সাথে অবাধে মেলামেশা করছে। ফলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরার আশংকা করছেন জেলাবাসী।

বিষয়টি নিয়ে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শামসুল হক জানান, ভারতে কি ধরণের চেক আপ করা হয় তা আমাদের জানা নেই। বাংলাদেশে ভারতীয় চালকদের কোয়ারেন্টিন রেখে পণ্য আনা নেয়া করা হচ্ছে না। বাংলাদেশী শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষদের সাথে তারা মেলামেশা করছে। পাশাপাশি অবস্থান করছে। এতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পরার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরী ভাবে দেখা উচিৎ।

এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে এই স্থলবন্দর। ভারতীয় ট্রাক চালকদের আসার ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিধি মানার উপর নজরদারী রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে শ্রমিক সংগঠনসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের সজাগ করার পাশাপাশি তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে বন্দরের শ্রমিকদের কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করে শতভাগ নিশ্চিত হতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!