দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পল্লীতে একটি পরিবারের উপর
সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে তিনজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার খিয়ার মামুদপুর গ্রামের
মমিনুর ইসলাম চেন্টু ও তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের
আবু সাঈদ পরিবারের সাথে শত্রুতা করে আসছিল। গত
বৃহস্পতিবার (৬মে) আবু সাঈদ মাঠে ধান শুকাতে গেলে মমিনুর
ইসলাম সেন্টু সংঘবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি সোটা,লোহার রড,
ধারালো ছুরি ও পশু কুড়াল নিয়ে আবু সাঈদের উপর হামলা করে। পশু
কুড়ালের আঘাতে আবু সাঈদের মাথায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয় এবং
হাতের কনুইয়ের নিচে হাড় ভাংগা জখম হয়। এসময় আবু সাঈদের
মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন এগিয়ে এলে তাকে মারধর, পরনের কাপড়
টেনে হেঁচড়ে শ্লীলতাহানী, গহনা ছিনতাই ও এলাপাথাড়ি
মারপিট করা হয়। এসময় আবু সাঈদের ছেলে সাবু মিয়া এগিয়ে
এলে ছোরা দিয়ে আঘাত করে তার মাথায় কাটা জখম ও এলাপাথারি
মারপিট করা হয়। তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন এসে
তাদের উদ্ধার করে বিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করায়।সেখানে
অবস্থার অবনতি হলে আহত পিতা আবু সাঈদ ও পুত্র সাবু মিয়াকে
উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। আহত সাবিনা ইয়াসমিন বিরামপুর
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় সাবিনা
ইয়াসমিন বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার
দিয়েছেন।
বিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) মতিয়ার রহমান জানান, মামলা
গ্রহন করার পর দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের
মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের
গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।