বঙ্গোপসাগরের পারে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলারচরে রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিতে হিন্দু নাম দেওয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচ মুসলিম যুবক।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে পশ্চিম সুন্দরবনের নলিয়ার ফরেস্ট অফিসের বনরক্ষীরা এ পাঁচ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেন। মামলার পর সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বন বিভাগ জানায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস কুমারঘাট গ্রামের সুমন মণ্ডলের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিয়ে পুণ্যস্নানে যাওয়ার পাস-পারমিট নিতে যান একই এলাকার কাওসারের ছেলে জলিল মিয়া।
একইভাবে ডুমুরিয়া উপজেলার সেনপাড়া-কালিকাপুর গ্রামের ইমন মণ্ডলের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিয়ে পাস-পারমিট নিতে যান মতিয়ার রহমানের ছেলে জুয়েল সরদার। পাশাপাশি একই উপজেলার সাহস কুমারঘাট গ্রামের রতন মণ্ডলের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন মোখলেস কাওসারের ছেলে বেল্লাল হোসেন।
একই সঙ্গে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চাড়াবান্দা গ্রামের প্রণয় বিশ্বাসের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন একই এলাকার ইয়াসিন। ডুমুরিয়া উপজেলার শিবনগর গ্রামের জুয়েল সরকারের জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি বন অফিসে জমা দেন একই এলাকার জহুরুল হোসেনের ছেলে ইকরামুল করিম।
মুসলিম হয়ে হিন্দু সেজে প্রতারণা করেছেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের অনলাইনে গিয়ে এনআইডি নম্বর দিয়ে চেক করার সময় তাঁদের প্রতারণা ধরা পড়ে। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বন বিভাগ।
পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, করোনার কারণে এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ছাড়া অন্যদের দুবলারচরের রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে নিষেধ করে বন বিভাগ।
এ জন্য রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়ার বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখে পাস-পারমিট দেয় বন বিভাগ। রবিবার ধর্মপরিচয় গোপন করে হিন্দু সেজে রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে প্রতারণা করায় পাঁচ মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করেন নলিয়ার ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা। পরে তাদের নামে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।