১৯৭১ সালে ১৪ দিনের ব্যবধানে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ আর সংযুক্ত আরব আমিরাত। আজ ২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪৪তম স্বাধীনতা দিবস। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৪৪তম বিজয় দিবস। একই বছর স্বাধীন হয়ে আজ আমিরাত বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে শামিল। বাংলাদেশ অনেকটা পেছনে। পরিকল্পনা ও কর্মদক্ষতার মধ্যদিয়ে আমিরাত বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইম, উম্মে আল কুইন ও ফুজিরা—সাতটি প্রদেশ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত। প্রতিটি প্রদেশে আলাদা শাসন ব্যবস্থা থাকলেও একতাই শক্তি মনে করেন তারা। দুবাই ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য পরিচিতি পেয়েছে। আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি ও বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাই পৃথিবীর অন্যতম বসবাসযোগ্য নিরাপদ সিটি বলে পরিচিতি লাভ করেছে।
স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে সারা আমিরাতকে। নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন আর আলোর ঝলকানিতে প্রতিটি শহররে দালানগুলি অপূর্ব লাগছে। স্কুল কলেজ, অফিস আদালত, সুপার ও হাইপার মার্কেট সেজেছে নানা সাজে। ঘোষণা করা হয়েছে তিন দিনের জাতীয় ছুটি। এ উপলক্ষে সুপার ও হাইপার মার্কেট, হোটেল রেস্তোরাঁ, বিনোদন কেন্দ্র ও বিভিন্ন ট্রেডিং কোম্পানি বিশেষ ছাড় দিয়েছে। তবে এবার ১ ডিসেম্বরকে জাতীয় শহীদ দিবস ঘোষণা করায় স্বাধীনতা দিবসের আনন্দটা কিছুটা কম হচ্ছে। তারপরও চোখ ধাঁধানো নানা আয়োজন সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
প্রতিবারের মতো আজ জাতীয় দিবসের র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এই র্যালিতে আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেবেন। র্যালি ছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠানেও তারা অংশ নেবেন। বাংলাদেশি নানা সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এ সুযোগে আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও কৃষ্টি তাদের মাঝে প্রকাশ করার সুযোগ হয়েছে।
আমিরাতের জাতীয় দিবস উপলক্ষে যে সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মোটর র্যালি, বিমান মহড়া, ড্যান্সিং ঝরনা, আলোকসজ্জা, আতশবাজি, উঁচু ভবনে রং বেরঙের সাজ আর আলোর ঝলকানি।
আমিরাতের প্রধান প্রধান সড়কসহ শহরের সড়কগুলো জাতীয় পতাকার পাশাপাশি আলোকিত ফরটি ফোর শোভা বাড়াচ্ছে এখন থেকেই। গোটা ডিসেম্বর জুড়ে চলবে এ সাজসজ্জা আর আলোর ঝলকানি।