চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল জানান, রাস্তা করা হয় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য।
তাই রাস্তার উপর কোনো বাজার বাসাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আসবে।
শহরের পুরানবাজারে নতুন রাস্তার উপর যে বাজারটি বসেছে সেটি এখানে থাকবে না। বাজার বসবে পৌরসভার নির্ধারিত মূল বাজারেই।
এ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করব।
তাছাড়া শুধুমাত্র পুরানবাজার নয়, পৌর এলাকায় কোনো রাস্তার উপরই মাছ কিংবা দরকারির বাজার সবতে দেয়া হবে না।
গতকাল ১৮ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় পুরাণবাজার পৌরসভার মাছ বাজারের প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে চাঁদপুর পৌর মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং রাস্তার উপর গড়র উঠা বাজার বন্ধ এবং পৌরসভার প্রতিষ্ঠিত মূল বাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান কালে তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য এ কথা বলেন।
পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান- মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য পৌরসভা যে স্থাপনা নির্মাণ করে দিয়েছে তার সমৃদ্ধি বৃদ্ধিসহ পানির ব্যবস্থা, টয়লেট নির্মাণ এবং ড্রেনগুলো সংস্কার করা হবে।
মাছ বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সুবিধার জন্যে যা যা করণীয় সব করা হবে। পাশাপাশি নতুন রাস্তায় উপর যারা ভ্রাম্যমাণ কাচা বাজারের দোকান বসিয়েছে তাদের মূল বাজারে বসার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা পৌর মেয়রের আপ্যায়ন ও পরামর্শে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
পরে ব্যবসায়ীরা নতুন রাস্তার উপর গড়ে ওঠা অবৈধ বাজার বন্ধ এবং পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত মাছের বাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
একই স্মারকলিপি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স, চাঁদপুর মডেল থানা এবং পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বরাবর প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় চাঁদপুর জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা শহরের পুরাণবাজার। ব্রিটিশ আমল থেকে পুরাণবাজার বাকালি পট্টি এলাকায় একটি মাছ বাজার গড়ে ওঠে।
চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই বাজারে একটি স্থায়ী স্থাপন করে দেওয়া হয়।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে এই বাজারের পূর্ব পাশে নতুন রাস্তায় একটি অবৈধ বাজার তুলেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। পুরানবাজারের ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনে যানবাহন চলাচলের জন্য খালের উপর চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃক যে নতুন রাস্তা করা হয়েছে সেই রাস্তার উপরে এ অবৈধ বাজারটি গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রতিদিন পুরান বাজার থেকে ওই রাস্তা দিয়ে শত শত ভারী যানবাহন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মালামাল আমদানি ও রপ্তানি করে থাকে।
এর ফলে বাজারে রাস্তায় ক্রয়বিক্রয় করা মানুষজন দুর্ঘটনার শিকার হয়। ১৫ নভেম্বর এমন একটি সড়ক দূর্ঘটনায় এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়।
মূলত এই অবৈধ বাজারটির জন্যই পুরাণবাজার মাছ বাজারের ঐতিহ্য এবং জৌলুস হারাতে বসেছে। ক্রেতা না থাকায় বাজারের মাছ বিক্রেতা, তরকারি বিক্রেতা ও মুদিদোকানীদের অনেকেই এখন ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
কেউ কেউ জীবিকার প্রয়োজনে খুঁজে নিয়েছে অন্য মাধ্যম। কেউ আবা বাপ-দাদার এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তাই নতুন রাস্তার এই অবৈধ বাজারটি বন্ধ করে দিয়ে পৌরসভা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মূল মাছবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানান বাজারের ব্যবসায়ীরা।