চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল লাইনের সংযোগ স্থাপন
চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী রেললাইনের সংযোগ স্থাপন করা হয় মঙ্গলবার। ছবিটি ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের লিচুতলার। ছবিঃ সংগ্রহ
বাংলাদেশ-ভারতের পঞ্চম রেল যোগাযোগ হিসাবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী ৭৮২/২ পিলারের পাশে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিত্বে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রেললাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট চিলাহাটির জিরো পয়েন্টে ভারত-বাংলাদশে সংযোগকারী রেলপথের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে আসেন রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বন্ধপ্রতিম দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বন্ধ হয়ে থাকা চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
এ সময় জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার হলদিবাড়ী থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ইঞ্জিন চালাবে ভারত। অচিরই এই রেলপথ দিয়ে দুই দেশের ট্রেন সরাসরি চলাচল শুরু করবে। আশা করা হচ্ছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী ইন্টারচেঞ্জ লিংক চালু হলে উভয় দেশ লাভবান হবে।
রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে চিলাহাটি ও হলদিবাড়ী রেল স্টেশন দুটি পুরোদমে চালু রয়েছে। চিলাহাটি থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও অন্যদিকে হলদিবাড়ী হতে ভারতের বিভিন্ন রুটে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মুহম্মদ কুদরত-ই খুদা বলেন, চিলাহাটি -হলদিবাড়ি রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ভাগের পরও তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের সময় চিলাহাটি-হলদিবাড়ীর মধ্যে এই ইন্টারচেঞ্জ চালু ছিল। সে সময় চিলাহাটি ও হলদিবাড়ী স্টেশনের উজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করে এখনো গর্ববোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত হলদিবাড়ীর সঙ্গে তদানীন্তন পাকিস্তানের রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৪৭ সালের ভারতের স্বাধীনতার আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী দিয়ে সরাসরি কলকাতার রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ওই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল রান হওয়ার কথা রয়েছে। এই রেলপথ চালু হলে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে।