আল-আমিন নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
কলমাকান্দায় গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ও তার মাকে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক) প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
১৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুরে কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শারীরিক নির্যাতন ও লাঞ্চিত কেয়া আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়া কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের মৃত আবু সামার মেয়ে।
ওই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর ঢাবির নিরাপত্তা মঞ্চের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে ঘটনাটির প্রতিবাদ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম রাব্বানী।
তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দেন।
আটককৃত যুবক লালচান মিয়া (২৮) পার্শ্ববর্তী গুমাই গ্রামের আব্দুর রেজাক রাজুর ছেলে। মারপিটের ঘটনায় অপর অভিযুক্ত সহোদর আপেল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
আহত কেয়া আক্তার কাকলি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, আমাদের বাড়ির সামনে ওই যুবকদের জমিতে আমাদের গরু ধান খাওয়ার অজুহাতে বাছুরকে বেধড়ক পিটিয়েছে এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাকে মারপিট শুরু করে এবং আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ সোহেল রানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান এবং ওই শিক্ষার্থীর খোঁজখবর নেন।
কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল মামুন জানান আহত কাকলি আক্তার এখন শঙ্কামুক্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ফখরুল আলম জুয়েল ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী (দূর্গাপুর সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং চিকিৎসাধীন ঢাবি ছাত্রী কাকলীর সাথে সাক্ষাৎ করে শারীরিক অবস্থার খবর নেন।
জড়িতদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কলমাকান্দা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।