ফরহাদ হোসেন জনি ,মুন্সীগঞ্জপ্রতিনিধি:
সিরাজদিখানে বন্যায় দূর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলজিইডি’র রাস্তা, এর পরের স্থানে রয়েছে জেলা পরিষদের রাস্তা। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় প্রায় ৪০ কি. মি. রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কাঁচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে সব ক’টি ইউনিয়নে কোন না কোন রাস্তার কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ উপজেলায় এলজিইডি’র রাস্তা রয়েছে ৬৮ কি.মি. এর মধ্যে এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে ও ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২১ কি. মি.। এছাড়া এলজি ইডি’র ১৩ টি রাস্তার কাজ চলমান আছে, সেগুলো এখন পানিতে তলিয়েগেছে, আবার কোথাও রাস্তার পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। এলজিইডি’র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯ টি রাস্তা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সোয়াইব বিন আজাদ বলেন, এ উপজেলায় ৬৭.৭৫ কি.মি. রাস্তা এলজিইডি’র। তার মধ্যে ২১ কি.মি. রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান আপাতত ধারণা করা হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি। দুর্ঘটনা এড়াতে ভাঙ্গা রাস্তায় বালুর বস্তা ও কোথাও গাছের ডালা ও বাঁশ দিয়ে প্রাথমিক ভাবে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে। গর্ত ও বিপদজনক রাস্তায় লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সঠিক হিসাব তখনই করা যাবে।