ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ মে ২০২০
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুই শতাধিক ছিন্নমূলদের মাঝে ঈদের খাবার প্যাকেট উপহার দিয়েছে মাঞ্জা- দৈনিক বাংলার অধিকার

প্রতিবেদক
majedur
মে ২৬, ২০২০ ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সালে আহমেদ,ঢাকাঃ
আজকে ঈদের দিন। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এই ঈদে আমরা যারা স্বচ্ছল আছি, প্রত্যেকেই নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে হাসি আনন্দে দিনটি কাটাবো। ভালো জামাকাপড় পড়ে, ভালো ভালো খাবার খেয়ে খোশ মেজাজে আমাদের ঈদ উদযাপন হবে। এ বছর করোনা মহামারীতে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, দামী দামী নতুন জামাকাপড় পড়া, কিংবা স্বজনদের বাসায় বেড়াতে যাওয়া হয়তো হবেনা। কিন্তু নিজের ঘরেই সবাইকে নিয়ে পোলাও, কোর্মা, মাংস খাওয়া হবে প্রত্যেকেরই। অথচ একটু বাইরে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য মানুষ এই ঈদের দিনে না খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা শেষ কবে একটু পোলাও মাংস খেয়েছে মনে করতে পারবে না। সেই সকল ছিন্নমূল মানুষদের পাশে ঈদের খুশি ভাগ করছে মাঞ্জা। আজ এই ঈদের দিনে পোলাও, মাংস আর মিষ্টিমুখ করার জন্য জর্দ্দা রান্না করে প্রায় ২০০ ছিন্নমূলদের মাঝে খাবার প্যাকেট উপহার দিয়েছে মাঞ্জা। তাদের এই কার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে “চলো ঈদে হাসি একসাথে”। করোনা মহামারীর শুরু থেকে নিন্মবিত্ত, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সহযোগীতা করে আসছে পুরাণ ঢাকার বারোজন বন্ধুর সংগঠন “মাঞ্জা”। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদের দিন যেন আর দশজন স্বচ্ছল মানুষের মত এই ছিন্নমূল মানুষেরাও একটু ভালো খেয়ে নিজের অন্তরকে তৃপ্তি দিতে পারে, যেন ক্ষনিকের জন্য হলেও ঈদের আনন্দে আনন্দিত হতে পারে সেই আশায় মাঞ্জা তাদের হাতে ঈদের খাবার প্যাকেট তুলে দিয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৫০ নিন্মবিত্ত পরিবারের মাঝে তারা ঈদের বাজার তুলে দিয়েছে। যার মধ্যে ছিলো সেমাই, দুধ, চিনি, পোলাওয়ের চাল, মুরগী, তেল, লবন, পিয়াজ, আলু ও সাবান। এর বাইরেও নিন্মবিত্ত পরিবারের ০-১২ বছর বয়সি ৫০জন শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন জামা উপহার দিয়ে শিশুদের মনে ঈদের আনন্দের ছোয়া পৌছে দিয়েছে মাঞ্জা। এ বছর নিজেরা ঈদে কোন নতুন জামা না নিয়ে সেই টাকা দিয়ে এই শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে পেরে মাঞ্জার প্রত্যেকটি সদস্য পরম আনন্দিত।

স্বচ্ছল ও বিত্তবান মানুষদের মত নিন্মবিত্ত দুস্থ মানুষরাও যেন ঈদুল ফিতরের দিন নিজের পরিবারের সাথে হাসি আনন্দে উদযাপন করতে পারে সেই প্রয়াসে তাদের এই মহৎ উদ্যোগ। সাগর, সৈকত, দিগন্ত, প্রান্ত, আকাশ, নোমান, আবীর, রিফাত, সম্রাট, গালীব, রবিন ও রায়হান এই বারোজনের অটুট বন্ধনে ২০০৯ সালের ১৪ই জানুয়ারী গড়ে ওঠে “মাঞ্জা”। করোনা মহামারীতে তাদের এই কাজে তাদের সাথে নিরলস স্বেচ্ছাসেবী শ্রম দিয়ে যাচ্ছে তাদের এলাকার ছোট ভাই হিমেল, প্লাবন, সাজ্জাদ, রাজ, সিফাত, হৃদয়, অমি, সিলভা, ইমন, পার্থ, মিজান, হাসান ও মিহাদ সহ আরও অনেকে। বৈশ্বিক এই মহামারী থেকে যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্ত না হবে, ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের এই ধরনের সহযোগীতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এমনটাই মাঞ্জা’র প্রত্যাশা।

Don`t copy text!