ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ মৃত্যুর তিন দিন পূর্বে এক ভিডিওতে কোন সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা না পাওয়ার হতাশা প্রকাশ করেছিল ৭ সন্তানের জননী শাহিদা। বলছিলাম ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আলামীনের স্ত্রী শাহিদার কথা । হতদরিদ্র পরিবারটির একটি মাত্র চুপড়ি ঘরে সাত সন্তানকে নিয়ে বসবাস।স্বামী স্ত্রীর পরের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে চলে যাচ্ছিল তাদের সংসার।
করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। তিনদিন অনাহারে থাকার পর। সামনে ঈদ সন্তানের মুখে অন্তত দু’মুটো ভাত যাতে দিতে পারে সেই আশায় ঘর ছাড়ে শাহিদা। চলে যায় গাজিপুর, মানুষের কাছে হাত পাতে।। সামান্য কিছু টাকা যোগাড় করে শুক্রবার (২২ মে) বাড়িতে অপুষ থাকা স্বামী সন্তানদের কথা চিন্তা করে ছুটে ফিরে বাড়ির দিকে। দূরপাল্লার যান না থাকায় ছোট ছোট গাড়িতে বাড়িতে ফিরছিলো শাহিদা। এসেও পরছিল অনেক দূর। বিধিবাম ব্যানগাড়িতে চড়ে গাজীপুর জেলার জৈনাবাজারে আসতেই পিছনের চাকায় ওড়নার পেচিয়ে ফাঁস লেগে মাটিতে পড়ে যায়,,মারাত্মক ভাবে আঘাত পায় মাথায় আশপাশের মানুষ বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয় ঘটনাস্থলেই মারা যায় শাহিদা।
দূর্ভাগ্য লকডাউনের কারণে স্বামীর বাড়িতে লাশ আনা গেল না। গফরগাঁও উপজেলা শিবগঞ্জ ইউ পির কুড়ারগাওঁ বাপের বাড়িতে দাফন করা হয় শাহিদাকে।। ইউ পি সদস্য অলিউল্লাহ কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল,, কেন এই এই পরিবারটি একটি সরকারি ঘর পাইনি, ১০ কেজি চাল পায়নি বা সরকারের কোন সহযোগিতা পাইনি,, সে জানায়, ঘরের তালিকা অনেক পূর্বে হয়ে গেছে,, অন্য সুবিধা না পাওয়ার কারণ তারা যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরেছি সহযোগিতা করা হবে। ইউ পি চেয়ারম্যান, আঃ মতিন একবার ফোন রিসিভ করলেও পরবর্তীতে একাধিক বার চেষ্টা করেও সংযোগ করা সম্ভব হয়নি। ইউ এন ও আব্দুর রহিম সুজন জানান, আমাদের তথ্য জানা না থাকলে তো কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনা।। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পরিবাটির জন্য সব রকম সহযোগিতা করা হবে। অপরদিকে মায়ের যোগার করা অর্থে যে শিশুদের আহার জুটবে সবাই হলো এয়াতিম।।