সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
বাঙালি জাতির জনক ও স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অুনষ্ঠিত।
১৭ ই মার্চ (মঙ্গলবার) দুুপুরে আমুলিয়া মডেল টাউনের বিট্রিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মুক্তমঞ্চে এ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে বিশাল কেক কেটে মুজিববর্ষ উদযাপন করা হয়।
আমুলিয়া মডেল টাউনের চেয়ারম্যান ও ৭০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আতিকের রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিন আ,লীগের সাধারন সম্পাদক জনাব হুমায়ুন কবির,বিশেষ অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মহি ও বাংলাদেশ আ,লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানিত সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশি।আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরো ও উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিন মহিলা আ,লীূগের ১মযুগ্ন সাধারন সম্পাদক রোকশানা আক্তার,৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল,৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন,৬৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ,সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মাহফুজা হিমেল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে হাজী আতিকুর রহমান বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন আজ।পাকিস্তাানি শাসক চক্রের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন। ১৯৫২, ’৫৪, ’৬২, ’৬৬ এর আন্দোলন আর ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ’৭০-এর নির্বাচনে বিজয় সবই জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একেকটি মাইলফলক।আর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ’৬৯ এর গণঅভ্যত্থানের মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের এই মহান স্থপতিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় মানবতার শত্রু, স্বাধীনতাবিরোধী, দেশি-বিদেশি ঘাতকের চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তিনি ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুমায়ন কবির বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর স্বাধীনতার বীর।বাঙালি জাতির স্থপতি ও স্বাধীনতার যুদ্ধে অগ্রণী ভুমিকার কারনে আজ আমরা স্বাধীন জাতি হিসেব বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আজকের এই বাংলাদেশ। প্রগতিবাদী ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু অকুতোভয় সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙ্গালির জাতি এদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্ঠি, সভ্যতা ও ঐতিহ্য নিয়ে যখন বাংলাদেশকে পুণগঠনে মনোনিবেশ করছিলেন তখনই এদেশের বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের সদস্যগণকে নির্মমভাবে হত্যা করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুসহ সকল হত্যাকারীদের বিচার করাসহ এদেশ থেকে সকল অপশক্তি এবং উগ্রবাদীয় গোষ্ঠীদের আইনের মাধ্যমে দমন করে একটি সুন্দর ও সুশৃক্ষল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।