কচুয়া প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ভাবে দোকান নির্মান ও বেড়া দেয়া চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাহেব আলী ও শাহজাহান গংদের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে প্রতিপক্ষ সাহেব আলী ও শাহজাহান গংরা জোরপূর্বক ভাবে দোকানে বেড়া দেয়া দেয়। কিন্তু ওই ২শতাংশ জমির মালিক আইয়ুব আলী। ওইদিন সাহেব আলী,শাহজাহান,শাহ জালাল,মামুন,ফারুকসহ নিজের জমি দাবি করে দোকানের বেড়া ও মেরামত করার জন্য চেষ্টা করেন এবং দোকানের বেড়া দিয়ে আলাদা করেন। এতে দোকানের মালিক আইয়ুব আলী বাধা দিলে তাকে মারধরের চেষ্টা করে নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ কলে কল দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৩০নং সেঙ্গুয়া মৌজা, এস ৯১,বি.এস ১০৮০ খতিয়ানের মালিক ছিলেন সাহেব উল্যাহ,আবদুর ওয়াব ও সুরুজ গংরা। ২০০০ সালে আইয়ুব আলী স্থানীয় সেঙ্গুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর ওয়াব আলীর কাছ থেকে ২৮১৫নং সাফ কবলা দলিলে সাবেক ৯৯২ হালে ২৮৫৫ দাগে ২শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই সময়ে টিনের ঘর,বেড়া ও অন্যান্য মেরামত করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করে এবং মারধর করেন। তখন জমির মালিক আইয়ুব আলী ১৪৫ ধারা বিধান মোতাবেক প্রসেডিং আদেশসহ নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রেক্ষিতে চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন । মামলা নং- ৪২৭/১৯ ইং।
এব্যাপারে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কচুয়া সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। ২৪/০৪/১৯ খ্রি: স্মারক নং- ৯৮৭ প্রতিবেদন বলা আছে, ৩০ নং সেঙ্গুয়া মৌজা বিএস ১০৮২ নং খতিয়ান, সাবেক হাল ৯৯২,বিএস ২৮৫৫ দাগের ০.০৫ একর ভূমির মধ্যে ০.০২ একর চৌহদ্দি রয়েছে এবং বিএস খতিয়ান ১০৮০ অনুযায়ী ২০০০ সালে আবদুর ওয়াব ০.২০০ রেকডীয় মালিক হন। পরে আবদুর ওয়াবে থেকে আইয়ুব আলী জমি ক্রয় করেন। কিন্তু জমির মালিক আইয়ুব আলী ০.০২ একর ভূমি প্রাপ্য হলেও বর্তমানে ০.০১৮৫ একর ভূমিতে ভোগ দখলে আছেন।
জমি ও দোকানের মালিক আইয়ুব আলী বলেন, আমি ২শতাংশ জমির মালিক হয়ে প্রতিপক্ষের সাহেব আলী ও শাহজাহান গংরা দোকানে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ভাবে বেড়া ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে। বাধা দিলে আমার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর আক্রমন করে এবং মারধরের চেষ্টা করে। তবে ওইদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ না আসলে হয়তো তারা আমার ও পরিবারের উপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা চালায় । আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী জানাই।
স্থানীয় আলমগীর হোসেন ও কমির সিকদার সহ এলাকাবাসীরা জানান, প্রকৃত পক্ষে কাগজপত্রে আইয়ুব আলী ওই ভূমি ও দোকানের মালিক। এটা নিয়ে চাঁদপুরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিপক্ষ শাহজাহান বলেন, ওই ভূমির ০.০২ শতাংশ তারা প্রাপ্য নয় তবে ০.১৭৫ শতাংশ দলিলে রয়েছে এবং ০.২৫ শতাংশ প্রকৃতপক্ষে আমি মালিক হিসেবে রয়েছি।
এব্যাপারে কচুয়া থানা এসআই মাইনউদ্দিন ও এএসআই জুয়েল হোসেন বলেন, চাঁদপুরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এবং ভূমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সোমবার কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কচুয়া: কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে জোরপূর্বক ভাবে দোকান নির্মান ও বেড়া দেয়ার একাংশ।