সিরাজুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর থেকে
সড়ক সংস্করণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া-মান্দারী সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুড়ি করে সংষ্কার কাজের অনিয়ম অনুসন্ধান করা হয়।
এসময় দুদক নোয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ, পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ১০৬ নম্বরে কল করে স্থানীয়দের অভিযোগ, অনিয়মের প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং পত্রপত্রিকায় লেখালেখির পর এ অভিযানে নামল দুদক।
এলজিইডি সূত্র জানায়, সদর উপজেলার দত্তপাড়া-মান্দারী সড়কের সাড়ে ৫ কিলোমিটার সংস্কার কাজে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। স্থানীয় রিপন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে। কাজটির শুরু থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল- উপজেলার দত্তপাড়া-মান্দারী সড়কটির সংস্কারে নিম্নমানের ইট-খোয়া, পাথর ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রকৌশলীর যোগসাজসে ঠিকাদার এ অনিয়ম করে। এনিয়ে অভিযোগ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হলেও সড়ক সংস্কারে যথাযথ মান রক্ষায় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরপরই ১০৬ নম্বরে কল করে দুদকের কাছে অভিযোগ করা হয়।
এদিকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন দুদক কর্মকর্তা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সড়ক সংস্কার কাজটিতে কি কি অনিয়ম হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক নোয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ।
সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কোনো ব্যবস্থা নেইনি, এটা সত্য নয়। তবে বর্তমানে যেহেতু দুদক বিষয়টি তদন্ত করছে সেহেতু আমাদের কিছু বলার নেই। দুদক এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য,সড়ক সংস্করনে বিভিন্ন সড়কের তথ্য চাওয়া হলেও এই উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ এমদাদ হক গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।