ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ
ছাগলনাইয়া পৌরসভাধীন মটুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা ইয়াছমিন’র বিরুদ্ধে ২য় ও ৪র্থ শ্রেনীর বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বাবা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম গত ১ জানুয়ারী ২০২০খ্রী.উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও পরবর্তীতে ৩০ জানুয়ারী ২০২০খ্রী.চট্টগ্রাম উপ-বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।অভিযোগে জানা যায় গত ২০১৯ খ্রী.পৌরসভার মটুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মোবাশ্বের মাহবুব মুনতাহা (রোল-০৪) ২য় শ্রেনী থেকে এবং মীর মোহাম্মদ মিশকাত উল আলম (রোল-০৬) ৪র্থ শ্রেনী থেকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দুইজন শিক্ষার্থী তাদের প্রাপ্ত ফলাফলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তারা তাদের ফলাফলের বিষয়ে কারচুপির সন্দেহ প্রকাশ করলে তাদের বাবা মাহবুব আলম বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা ইয়াছমিনকে তার সন্তানদের পরীক্ষার কাগজ দেখানোর জন্য অনুরোধ জানান। প্রধান শিক্ষিকা প্রথমে উত্তরপত্র দেখাতে অনীহা প্রকাশ করলে পরে দেখানোর পর দেখা যায় প্রতিটি বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারচুপি করা হয়েছে। উত্তরপত্রে দেখা যায় শ্রেনী শিক্ষকরা যে নাম্বার দিয়েছে সেখানে প্রধান শিক্ষিকা নাম্বার কর্তন করে কমিয়ে দিয়েছে যার কারনে উক্ত শিক্ষার্থীরা প্রথম স্থান অর্জন করলে পিছিয়ে পড়েছে আর প্রধান শিক্ষিকা তার নিজ সন্তানকে ১ম স্থানে উত্তীর্ন করতেই এমন অনিয়ম করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এধরনের কারচুপি দেখে পূর্নমুল্যায়ন ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ১ জানুয়ারী ২০খ্রী. উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন না করায় পরবর্তীতে ৩০ জানুয়ারী উপ-বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চট্টগ্রামের বরাবরে আরেকটি লিখিত অভিযোগ দেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পরীক্ষার উত্তরপত্রে এমন স্বজনপ্রীতি ও কারচুপির বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা ইয়াছমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি গনমাধ্যমকে বলেন বিষয়টি আমি জানিনা কাগজগুলি শ্রেনী শিক্ষকরা মূল্যায়ন করেছে এবং নাম্বার দিয়েছে। শ্রেনী শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের কাছে নাম্বার কর্তন করে কমিয়ে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষিকা আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছি আমাদের দোষ নেই। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্যান্য শিক্ষকরাও জানিয়েছে প্রধান শিক্ষকের উত্তরপত্রে স্বজনপ্রীতিসহ ও নানা অনিয়ম অপরাধের কথা। এব্যপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহি উদ্দীনের কাছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গনমাধ্যমের কাছে অভিযোগটি সত্য বলে স্বীকার করেন এবং তিনি বলেন উত্তর পত্রের কপি আমার সংগ্রহ করেছি সেগুলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেখিয়েছি আগামীকাল আমরা ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিষয়টি সমাধানের জন্য বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।