মোঃ জুয়েল রানা ( নীলফামারী প্রতিনিধি)ঃ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের পুরো র্যাক বনলতা হয়ে ছেড়ে গেছে গন্তব্যে। আর নীলসাগরের বগি নিয়ে নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে গেছে সিল্কসিটি।
আট মাস আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা আধুনিক বগি দিয়ে বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলোই বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে সর্বাধুনিক বগি। একেবারেই নতুন এই বগিগুলোতে সংযুক্ত রয়েছে উড়োজাহাজের মতো বায়ো টয়লেট। এ কারণে মলমূত্র রেল লাইনের ওপরে পড়ে না। রয়েছে রিক্লেনার চেয়ার। আছে ওয়াইফাই সুবিধা। প্রতিটি বগিতে রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে। যার মাধ্যমে স্টেশন ও ভ্রমণের তথ্য প্রদর্শন করা হয়।
১২টি বগি দিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা হয়। আট মাসের মাথায় অত্যাধুনিক এই বগিগুলো বনলতা থেকে সরানো হলো।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে শেষবারের মতো ইন্দোনেশিয়ান র্যাক (ট্রেনের সব কোচ মিলে একটি র্যাক) নিয়ে যাত্রা করে বনলতা। এরপর ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার র্যাকটি চলে আসে পার্বতীপুরে। শুক্রবার রাতে নীলসাগর এক্সপ্রেসের ভারতীয় এলএইচবি র্যাকটি বনলতার জন্য রাজশাহীতে আসে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) পুরোনো বগি নিয়ে যাত্রা শুরু করে বনলতা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, বনলতার ইন্দোনেশিয়ার বগিগুলো দিয়ে ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পরিবর্তন করতে হলো।
তাছাড়া এই র্যাকে কোনো কেবিন ছিলো না। ভারতীয় র্যাকটিতে থাকছে দুটি এসি চেয়ার কোচ এবং দুটি এসি কেবিন। আসনও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে রাজশাহীবাসী আরও ভালো পরিষেবা পাবেন বলে তিনি জানান।
গত ২৫ এপ্রিল রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচল শুরু করে বনলতা এক্সপ্রেস। গত ১৭ জুলাই থেকে ট্রেনটির চলাচল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বনলতা আপ-৭৯১ ট্রেনটি ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুরে পৌঁছায়।
আর বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছে। গোলোযোগ না থাকলে ৩৪৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রমে ট্রেনটির সময় লাগে ৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
তবে গত কয়েকদিন ধরে বনলতার বগি সরিয়ে নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীর মানুষ ক্ষোভ জানান।