সুজন কুমার,নাটোর প্রতিনিধি দৈনিক বাংলার অধিকারঃ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশে বেশিরভাগ এলাকা মুক্ত হলেও নাটোর ছিল অবরুদ্ধ।নাটোরে বিজয় আসে ২১ ডিসেম্বর।এই দিন পাকিস্তানের মেজর জেনারেল নজর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্রবাহিনীর লেফটেনেন্ট জেনারেল লাসমন সিং এর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।দিঘাপতিয়া গভর্নর হাউজে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭৬৯৫ জন সেনা সদস্যসহ দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।এ সময় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র জমা দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।
এই দিনকে স্বরণ করে “স্বাধীনতার বিপক্ষ সকল অপশক্তিকে রুখে দাও”এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নানা আয়োজনে নাটোরে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।এ উপলক্ষে আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা শাখা,সাবেক জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম যৌথ আয়োজনে বের করা শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের মাদ্রাসা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।পরে সেখানে অবস্থিত বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা শাখার সদস্য সচিব সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল,যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম নান্টু, পৌর কাউন্সিলর ফরহাদ আলী,সংগঠনের পৌর শাখার সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাচ্চু সহ নেতৃবৃন্দ।এ সময় বক্তারা সম্প্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় জড়িত নয় এমন অনেকের নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে তালিকা প্রকাশের দাবী জানান।